একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের অভিনয়ের পর ফাঁদে ফেলে বিয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শাহানাজ পারভীন ওরফে সানু (৩৯) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ওই নারীর স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। তার ২১ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি এবং স্বামীই তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অর্থ উপার্জনকে পেশা হিসেবে বেছে নেন শাহানাজ পারভীন। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে এ প্রতারক নারী প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করছে র্যাব।
গতকাল র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বলেন, একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর ডেমরা এলাকায় র্যাব-৩ এর একটি দল গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক শাহানাজ পারভীন ওরফে সানুকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে তিনটি জাল এনআইডি, তিনটি জন্মনিবন্ধনের কপি, বিভিন্ন নামীয় তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের চেকবই, একটি নিকাহনামা, বিভিন্ন ব্যক্তির তিনটি এনআইডি ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বীণা রানী দাস বলেন, গ্রেফতার এই নারী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে বিয়ের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। সে বিভিন্ন নামে ছদ্মবেশ ধারণ করে ফেসবুকের মাধ্যমে সহজ-সরল ব্যক্তিদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। তারপর বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর গ্রেফতার শাহানাজ পারভীন তার স্বামী-সন্তান, নিজের বয়স ও প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে কাজী অফিসে গিয়ে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে একজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ বিয়ের মূল উদ্দেশ্যই ছিল অর্থ আত্মসাৎ করা।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার নারীর স্বামী সৌদি প্রবাসী। তার ২১ বছরের একটি কন্যাসন্তান ও দুই ছেলে রয়েছে। তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি এবং স্বামীই তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এরপরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রতারণার
আশ্রয় নিয়ে অর্থ উপার্জনকে পেশা হিসেবে বেছে নেয় শাহানাজ।
বীণা রানী দাস আরও বলেন, অভিযোগকারী ভিকটিমের সঙ্গে বিয়ের পর ব্যবসায়িক ভিসায় অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং বিকাশের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় শাহানাজ। এভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে সে প্রায় এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মামলা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে