শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

পৃথিবী বদলে গেছে, পৃথিবী বদলে যাবে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ৬ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ১৫:০৩, ৬ অক্টোবর ২০২১

Google News
পৃথিবী বদলে গেছে, পৃথিবী বদলে যাবে!

ফাইল ছবি

পৃথিবী বদলে গেছে। অনেক কিছুই আর আগের মতো নেই। কয়েকশ বছর পরই পৃথিবী আর পৃথিবীই থাকবে না। বাসাযোগ্য নীলাভ এই গ্রহটি পরিণত হবে ভিনগ্রহে। এটা জ্যোতিষীর কোনো পূর্বাভাস নয় এই তথ্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার ফল।

সম্প্রতি জাতিসংঘের বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি এমন তথ্য দিয়েছেন। ইউনাইটেড ন্যাশন্স অ্যাসেসমেন্ট অব ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স নামের ওই গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে।

ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন রাষ্ট্র গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমানোর যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি রক্ষিত হলেও আর ৭৯ বছরের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে অন্তত ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। এর ফলে এমন ঘনঘন ও ভয়ঙ্কর দাবানল হবে বিশ্বজুড়ে, যা নজিরবিহীন।

একইভাবে ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, খরা, বন্যা, তাপপ্রবাহ ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা ও সংখ্যা এতটাই অকল্পনীয় ভাবে বেড়ে যাবে যে ২১০০ সালে পৃথিবী আর বাসযোগ্য থাকবে না। মানবসভ্যতার কাছে হয়ে পড়বে একটি ভিনগ্রহ। শুধু তা-ই নয়, স্থল ও জলের যাবতীয় বাস্তুতন্ত্রেরও আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে, ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা-বৃদ্ধিকে প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে। তা না হলে শেষ দিন ঘনিয়ে আসবে পার্থিব সভ্যতার।

গবেষকরা দেখেছেন, ২১০০ সালের পরেও পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির রথের রশির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না। ফলে বিশ্বজুড়ে প্রচুর কৃষিজমি পুরোপুরি অ-ফসলি, অনুর্বর হয়ে পড়বে। সেগুলো ধীরে ধীরে সরে যাবে পৃথিবীর দুই মেরুর দিকে।

যেহেতু দুই মেরুর বরফও ততদিনে গলে গিয়ে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ানোর পাশাপাশি বরফের নিচে লুকিয়ে থাকা স্থলভাগকেও উপরে তুলে আনবে। আমাজন নদীর অববাহিকা আর ৪শ বছরের মধ্যে একেবারেই শুকিয়ে যাবে।

তাপপ্রবাহের তীব্রতা ও ঘটনার সংখ্যা এতটাই বেড়ে যাবে যে, অনেক এলাকাই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এখনই সতর্ক হওয়ার সময়। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

রেডিওটুডে নিউজ/এমএস

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের