
কলিজার নানা উপকারিতা
কমবেশি আমরা অনেকেই কলিজা খাবার হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। মানবদেহের রক্ত তৈরিতে গরুর কিংবা ছাগলের কলিজা বিশেষ ভূমিকা রাখে। রক্ত তৈরি প্রধান উপাদান হচ্ছে আয়রন। আর এ আয়রন থাকে গরু, ছাগল কিংবা ভেড়ার কলিজাতে। যা সেবনের মাধ্যমে মানবদেহে আয়রন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
শিশু থেকে ৪০ বছর বয়স্ক মানুষের জন্য যথেষ্ট দরকারি খাদ্য উপাদান হল কলিজা। কলিজায় উপস্থিত ভিটামিন 'এ' এবং আমিষ দেহের বর্ধনের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।
চলুন তাহলে জেনে আসি মানবদেহে কলিজার উপকারিতা সমূহ গুলো কি কি :
১. শিশু থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত বয়সিদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কলিজা রাখা উচিত। এতে বাচ্চাদের বুদ্ধি এবং রক্ত দুটিই বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কলিজার রয়েছে বিশেষ ক্ষমতা।
২. কলিজায় উপস্থিত রয়েছে সেলেনিয়াম নামের একটি উপাদান। কলিজা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে ক্লোন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, শরীরের জয়েন্টের ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কৃমি কিংবা হাঁপানি নিয়মিত কলিজা খেলে এ সকল শারীরিক সমস্যা পরিমাণ কমে যায়।
৩. বড় যেকোনো ধরনের অপারেশনের পর, গর্ভাবস্থায়, প্রচুর রক্তক্ষরণের পর, সন্তান জন্মদান বা মাতৃদুগ্ধ দানকালীন সময়ে কলিজা খাওয়া যথেষ্ট উপকারী। কারণ এতে রক্তের ঘাটতি পূরণ হয়।
৪. কলিজায় জিংকের পরিমাণ রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে। মানবদেহের ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন জ্বর, সর্দি, টনসিলাইটিস ভাইরাস নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে এই জিংক। তাই শরীরে জিংকের চাহিদা মেটানোর জন্য কলিজা খাওয়া খুবই জরুরি।
এস আর