সোমবার যুক্তরাষ্ট্র চীনা চিপ পণ্যের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বিশেষ করে হুয়াওয়ের এসেন্ড সিরিজের চিপগুলোর ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। এই পদক্ষেপটি চীনের উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিকাশে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে "বৈষম্যমূলক" ও "বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহ চেইন ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য হুমকি" হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে ।
সোমবার চীনা চিপ পণ্য সম্পর্কে সংশোধিত মার্কিন ঘোষণার বিষয়ে এক মন্তব্যে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অপব্যবহার করেছে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে চীনা চিপের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। চীন দৃঢ়ভাবে এই ধরনের একতরফা হুমকির বিরোধিতা করে। কারণ এটি বাজারকে প্রভাবিত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তগুলো চীনা কোম্পানিগুলির বৈধ অধিকার এবং স্বার্থের গুরুতর লঙ্ঘন, বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ব্যাহত করেছে বলেও উল্লেখ করেন মুখপাত্র।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনের প্রকৃত ক্ষতি করতে থাকে, তাহলে চীন তার বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
এদিকে অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাপের মধ্যেও চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে ইতিবাচক ধারায় এগিয়ে চলেছে। সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (এনবিএস)।
এনবিএসের মুখপাত্র ফু লিংহুই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনের অর্থনীতির জন্য মৌলিকভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বেশ কয়েকটি অনুকূল পরিস্থিতি বিদ্যমান।
এনবিএসের তথ্যমতে, চীনের ভোগ্যপণ্যের খুচরা বিক্রয় এপ্রিল মাসে ৫.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩.৭২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৫১৭.২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) হয়েছে। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত দেয়। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ভোগ্যপণ্যের খুচরা বিক্রয় বার্ষিক ৪.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রথম তিন মাসের ৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধির চেয়ে কিছুটা বেশি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম
