
মাইক ওয়াল্টজকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ওয়াল্টজকে অপসারণের ঘটনাকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে উন্নীত করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি দোষারোপ করেন, যারা তার এই পদত্যাগকে বরখাস্ত হিসেবে তুলে ধরছে।
ভ্যান্স ফক্স নিউজের ব্রেট বাইয়ারকে দক্ষিণ ক্যারোলিনার চার্লস্টন থেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তাকে বরখাস্ত করা হয়নি। তাকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত করা হচ্ছে, যা অবশ্যই সিনেট-অনুমোদিত একটি পদ। আমার মনে হয়, এটিকে একটি পদোন্নতি বলা যায়।’ খবর সিএনএনের।
তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম এটিকে বরখাস্ত হিসেবে দেখাতে চায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেক লোককে বরখাস্ত করেছেন। কিন্তু তাদের কাউকে পরবর্তীতে কখনো সিনেট-অনুমোদিত পদ দেননি। ট্রাম্প মনে করেন, মাইক ওয়াল্টজ এই নতুন ভূমিকায় প্রশাসনকে – এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, মার্কিন জনগণকে – আরও ভালোভাবে সেবা দিতে পারবেন।’
জানা গেছে, ওয়াল্টজের শূন্যপদ সাময়িকভাবে পূরণ করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ‘সিগনালগেট’ বিতর্কের রেশ না কাটতেই ওয়াল্টজকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটলো।
এর আগে, ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে প্রেসিডেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, মাইক ওয়াল্টজ এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নেই।ওয়াল্টজকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে।
যুদ্ধের ময়দান থেকে কংগ্রেস, প্রতিনিধি পরিষদ এবং হোয়াইট হাউস— সব জায়গায় দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন মাইক। তেমনভাবে তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরেও নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
‘সিগনালগেট’ বিতর্কের পর থেকেই ওয়াল্টজের পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তিনি মার্চ মাসে একটি সিগনাল গ্রুপ চ্যাট তৈরি করেন, যেখানে ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা চলছিল। ভুলবশত সেই গোপন চ্যাটে যুক্ত হয়ে যান সাংবাদিক জেফরি গোল্ডবার্গ। পরে সেই গ্রুপ চ্যাটের কথাবার্তা ফাঁস হলে শুরু হয় তোলপাড়।
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, সেখানে গোপন কোনো নথি ছিল না। তবে ওয়াল্টজের ভূমিকাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। সংবাদমাধ্যমগুলো একে ‘সিগনালগেট’ নাম দেয়, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সেই সময় থেকেই তার দায়িত্ব এবং পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম