
মাঠে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আবারও উজ্জ্বল ছিলেন লিওনেল মেসি। পাঁচটি শট নিয়েছেন, চারটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, আর একটি গোল নিজেই করেছেন। তবুও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি স্মরণীয় হলো না তার দলের জন্য—মিনেসোটা ইউনাইটেডের কাছে ৪-১ ব্যবধানে বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইন্টার মায়ামি।
মিনেসোটার মাঠে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে মেসি পেয়েছেন সর্বোচ্চ রেটিং ও হয়েছেন ম্যাচসেরা। কিন্তু জয়শূন্য একটি সন্ধ্যার রঙ ম্লান করে দিয়েছে তার পারফরম্যান্স। এই হার মায়ামির জন্য ছিল দুঃখজনক এক রেকর্ডও। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের পর এই প্রথম ৩ গোলের ব্যবধানে কোনো ম্যাচ হারল দলটি।
চোটের কারণে মেসির ঘনিষ্ঠ সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ছিলেন না দলে। ফলে আক্রমণভাগ কিছুটা দুর্বল থাকলেও সবচেয়ে বড় ভোগান্তি ছিল রক্ষণভাগে। প্রথমার্ধেই হোলাগোয়ানে (৩২ মিনিট) ও মারকানিস (৪৫+২ মিনিট) গোল করে মিনেসোটাকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন মেসি। ৪৮তম মিনিটে জর্দি আলবার পাস ধরে গোল করেন তিনি। এটি ছিল তার পেশাদার ক্যারিয়ারের ৮৬০তম গোল, যা আবারও ফুটবল ইতিহাসে তার অনন্য অবস্থানকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
তবে গোলটি মায়ামিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। ৬৮তম মিনিটে নিজের জালেই বল পাঠান আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্সেলো ভেইগান্ট, ফলে ব্যবধান আবার বেড়ে যায়। এরপর ৭০তম মিনিটে রবিন লড আরও একটি গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ৪-১ এ।
এই ম্যাচে হারের ফলে কোচ হাভিয়ের মাচেরানোর জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে রক্ষণের দুর্বলতা। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই হেরেছে ইন্টার মায়ামি, যার মধ্যে হজম করেছে ১৪টি গোল।
বর্তমানে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১২ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্টার মায়ামি। অপরদিকে, মিনেসোটা ইউনাইটেড ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে সমান ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম