বুধবার,

০২ জুলাই ২০২৫,

১৭ আষাঢ় ১৪৩২

বুধবার,

০২ জুলাই ২০২৫,

১৭ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে: নাহিদ ইসলাম

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ১ জুলাই ২০২৫

Google News
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই যে অভ্যুত্থান, এই অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষ আহ্বায়ক হয়েছেন, হাজারো মানুষ আহত হয়েছেন, কীসের জন্য? একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য। যে বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না, গণতন্ত্র থাকবে। যে বাংলাদেশে কথা বলতে গেলে পুলিশ আপনাকে বাধা দেবে না, আপনি মত প্রকাশ করতে গেলে পুলিশ আপনার ওপর লাঠিচার্জ করবে না, গুলি করবে না। আপনি কথা বলতে চাইলে কথা বলবেন। প্রতিবাদ করবেন। এই গণঅভ্যুত্থান আমাদের প্রতিবাদ শিখিয়েছে। আপনারা যে কথা বলবেন, নির্ভয়ে বলবেন। 

তিনি বলেন, আমাদের যে ভয় ছিল; ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে সেই ভয় কেটে গেছে। নতুন করে আর কোনও ভয়ের সংস্কৃতি এই দেশে গড়ে উঠতে দেবো না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদেরা রক্ত দিয়েছে। আমরা রাজপথে নেমেছি, প্রয়োজনে আমরা আবারও রক্ত দেবো। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পথেই এই বাংলাদেশকে চলতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে পথসভা কর্মসূচি পালনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্য এক দলকে সরিয়ে আর একদলকে বসানোর জন্য কেউ রক্ত দেয়নি, গণঅভ্যুত্থান করেনি। এই নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্বের আর কোনও সুযোগ দেবো না। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার যে ডাক দিয়েছি, সেই দেশ গড়ে ঘরে ফিরবো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গুলি চালিয়েছিল, হামলা করেছিল, সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখনও বিভিন্ন জায়গায় ষড়যন্ত্র করছে, ভারতে বসে তারা ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি রংপুর বিভাগের দরিদ্র অঞ্চলগুলোর মধ্যে গাইবান্ধা অন্যতম। দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধাবাসী বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই। সেজন্য আমরা নতুন দেশ গড়ার ডাক দিয়েছি, রাজপথে নেমেছি। ২০২৪ সালে আমরা শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছিলাম, এখন উৎখাত হয়েছে, পতন হয়েছে, কিন্তু নতুন দেশ এখনও গঠন হয়নি। 

এসময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ছাড়াও দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব,  যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আবু সাঈদ লিয়ন, সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) নাজমুল হাসান সোহাগ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, সদস্য ফিহাদুর রহমান দিবসসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শুরুর আগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হন। পরে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়ক হয়ে রংপুরে ফিরে যান তারা। 

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের পীরগঞ্জে অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এলে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এনসিপির স্থানীয় নেতারা।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের