
জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার (৩০ জুন) বাদ জোহর এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ফ্যাসিবাদ উৎখাত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট, সাবেক ছাত্রনেতা এম. এ. হাশেম রাজু সভাপতিত্ব করেন।
সভায় তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের হত্যাকারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বস্তরে সক্রিয়। এই অবস্থায় একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। যদি আগামী এক মাসের মধ্যে বিচার কার্যক্রমে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়, তবে আমরা আবারও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
আলোচনা সভা শেষে তিনি মাসব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এর মধ্যে রয়েছে সারাদেশব্যাপী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণসংযোগ, জেলা প্রশাসকদের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, শহিদ ও আহত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেয়ার উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ আব্দুল মোমেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার পারভেজ আহমেদ, ব্যারিস্টার জসিম উদ্দিন খান, এনামুল হক ধনু, এ্যাডভোকেট এ বি এম জুবায়ের, এ্যাডভোকেট জেসমিন আক্তার, প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ বাকের, সহ-সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন মিজান, এ্যাডভোকেট গৌরাঙ্গ দে, কে এম আক্কাস, মোহাম্মদ এস এম ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার কে এম ইমতিয়াজ, মাহবুবুল আলম রাশেদ, কে এম জামান, এম ডি রাশেদুল ইসলাম এবং এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক রাসেল প্রমুখ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম