রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, তেলের দাম বাড়ার পূর্বাভাস

শুক্রবার,

২৪ অক্টোবর ২০২৫,

৯ কার্তিক ১৪৩২

শুক্রবার,

২৪ অক্টোবর ২০২৫,

৯ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, তেলের দাম বাড়ার পূর্বাভাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৪, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১১:২৫, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

Google News
রাশিয়ার তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, তেলের দাম বাড়ার পূর্বাভাস

রাশিয়ার বড় দু’টি তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও বাড়বে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। যদিও এ নিষেধাজ্ঞায় মস্কোর ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মত তাদের। কিন্তু ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে ভুক্তভোগী হবে বিশ্বের জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যবস্থা। নিষেধাজ্ঞার খেসারত দিতে হতে পারে খোদ যুক্তরাষ্ট্রকেও।

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই রাশিয়ার বড় দু'টি তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন নাখোশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম এক লাফে বেড়েছে চার শতাংশেরও বেশি । অন্যদিকে, মস্কো থেকে তেল আমদানি বন্ধে নয়াদিল্লিকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।

যদিও মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অকার্যকর দাবি করছে রুশ প্রেসিডেন্টের অফিস। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে দেয়া শর্ত থেকে একচুলও না নড়ার সিদ্ধান্ত মস্কোর।

বিশ্বের মোট পরিশোধিত ও উত্তোলনকৃত তেলের ৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়ার ওই দুটি কোম্পানি। রাশিয়ার বাজেটের এক চতুর্থাংশ আসে এই তেল ও গ্যাস থেকে। গেল বছরের তুলনায় চলতি বছর এই খাতে রাজস্ব আয় কমেছে ২১ শতাংশ। কিন্তু এই আয় জ্বালানি রপ্তানির ওপর নির্ভর করে না। তেল-গ্যাস উত্তোলন, পরিশোধন বাবদ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে যে কর আদায় করা হয় সেটাই মস্কোর এই খাতে আয়ের প্রধান উৎস। তাই যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রাশিয়ার দুশ্চিন্তার কোনো কারণ দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

বরং বিশ্লেষকদের দাবি, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে সবার আগে পেট্রোলের দাম বাড়বে যুক্তরাষ্ট্রে। আর এমনটা হলে নিজ দেশে জনগণের আস্থা হারাবেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ১.৬ থেকে ১.৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল সরবরাহ করে রাশিয়া। এখন মস্কোর ক্রেতারা যদি বিকল্প হিসেবে চীন থেকে তেল কেনা শুরু করেন, সেটাও খুব একটা পছন্দ করবেন না ট্রাম্প। আর সরবরাহ পুনর্গঠনে যে সময় লাগবে তাতে বিশ্বজুড়ে তেলের ঘাটতি দেখা যাবে। অবশ্যম্ভাবীভাবে বাড়বে তেলের দাম।

রাশিয়ার ন্যাশনাল এনার্জি সিকিউরিটি ফান্ডের বিশ্লেষক ইগর ইউশকভ বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞা সরাসরি রাষ্ট্রের বাজেটে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে হয়। তবে এর পরোক্ষ নেতিবাচক প্রভাব থাকতে পারে। যদি কোনো কোম্পানির আয় কমে যায়, তবে সেটি কম কর প্রদান করবে। রসনেফটের ক্ষেত্রে, যেখানে রুশ সরকারই প্রধান শেয়ারহোল্ডার, সেখানে কোম্পানিটি কম লভ্যাংশও দিতে পারে। তবুও, এটি রাষ্ট্র বা কোম্পানির ওপর কোনো নাটকীয় কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে সংশ্লিষ্ট জ্বালানি প্রতিষ্ঠান থেকে তুলনামূলক কম কর পাবে মস্কো। তবে, নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া রসনেফটের প্রধান শেয়ারহোল্ডার রুশ সরকার নিজেই। তাই বিশ্লেষকদের দাবি, নিষেধাজ্ঞার কারণে কম লভ্যাংশ পেলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে নাটকীয় কোনো ক্ষতির মুখের পড়বে না রাষ্ট্র বা কোম্পানি।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের