দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে জেন-জি বিক্ষোভের জেরে সৃষ্ট অস্থিরতা দমনে রাজধানী লিমায় ৩০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জরুরি অবস্থার অধীনে পেরুর সরকার সেনাবাহিনীকে রাস্তায় টহল দেওয়ার অনুমতি দেবে এবং নাগরিকদের সমাবেশসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক অধিকার সীমিত করবে।
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি বলেন, "যুদ্ধ কথায় নয়, কাজে জেতা যায়। দেশজুড়ে অপরাধ মোকাবিলায় এবার নতুন কৌশল নেওয়া হবে।" তবে, সরকারি ঘোষণায় চাঁদাবাজি ও চোরাচালান দমনে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কৌশল উল্লেখ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, পেরুতে সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৬৯০টি হত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে পুলিশ, যা গত বছরের একই সময়ের (১ হাজার ৫০২) তুলনায় বেশি।
দুর্নীতি ও সংগঠিত অপরাধ দমনে ব্যর্থতার অভিযোগে গত ১০ অক্টোবর দিনা বোলুয়ার্তেকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারণ করে পেরুর কংগ্রেস। এরপর সংসদের স্পিকার হোসে জেরি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তার পদত্যাগ দাবিতে গত সপ্তাহে হওয়া বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে একজন নিহত হন এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরুরি অবস্থা কার্যকর থাকলে মানুষ বিক্ষোভের সাংবিধানিক অধিকার পাবে না।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

