সুদানে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০: জাতিসংঘ

বুধবার,

০৫ নভেম্বর ২০২৫,

২১ কার্তিক ১৪৩২

বুধবার,

০৫ নভেম্বর ২০২৫,

২১ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের উত্তর করদোফান রাজ্যের

সুদানে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০১, ৫ নভেম্বর ২০২৫

Google News
সুদানে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০: জাতিসংঘ

যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের উত্তর করদোফান রাজ্যের এল-ওবেইদ শহরে এক জানাজায় হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় সংস্থা স্থানীয় সূত্রের বরাত জানায়, সরকারপন্থী সুদানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন ওই রাজ্যের রাজধানী এল-ওবেইদে হামলাটি সংঘটিত হয়। তবে হামলার সময় বা হামলাকারীদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

জাতিসংঘের সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, ‘করদোফান অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। আমরা আবারও সব পক্ষকে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার অনুরোধ করছি।’

তেলসমৃদ্ধ করদোফান অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। গত সপ্তাহে আরএসএফ বাহিনী যখন এল-ওবেইদ শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত বারা শহরটি দখল করে নেয়। ওই সময় হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে রাজধানী এল-ওবেইদে পালিয়ে আসে।

এদিকে, সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের পর আরএসএফ বাহিনী উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশের শহরটির নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনার পর ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহর ও আশপাশের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সূত্র বরাত আল-জাজিরা জানায়, আরএসএফ বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচার হত্যা, যৌন সহিংসতা ও গণহত্যার মতো নৃশংস কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে সুদানি সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

এরপর থেকে আরএসএফ দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা দখল করেছে। এই সংঘাতে ইতোমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে, মঙ্গলবার সুদানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হাসান কাবরুন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের বৈঠকের পরও সেনাবাহিনী আরএসএফের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।

সূত্র: আল-জাজিরা

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের