বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে ঢাকা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা

বুধবার,

০৫ নভেম্বর ২০২৫,

২১ কার্তিক ১৪৩২

বুধবার,

০৫ নভেম্বর ২০২৫,

২১ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ঢাকা

বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে ঢাকা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:১৭, ৫ নভেম্বর ২০২৫

Google News
বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে ঢাকা, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা

ঢাকা বর্তমানে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ ১৯১৮ সালে বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্পের এক শতাব্দীরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।

বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা এমন এক শহর। কোনো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য অপ্রস্তুত। সম্প্রতি এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস)।

সম্প্রতি বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপ্রকল্প পরিচালক ও আবহাওয়াবিদ রুবায়েত কবির জানিয়েছিল, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকির কারণে ভূমিকম্পের দিক থেকে অত্যন্ত নাজুক অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

তিনি আরও জানান, ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ ঝুঁকি সূচকে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাধারণত প্রতি ১০০ বছর পরপর বড় ভূমিকম্প ঘটে। সর্বশেষ বড় ভূমিকম্প ঘটে মধুপুর ফল্টে ১৮২২ ও ১৯১৮ সালে। ফলে বাংলাদেশ এখন আরেকটি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তাই ঢাকার ঝুঁকিও সর্বোচ্চ।

পৃথিবী পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেট—ভারতীয়, ইউরেশীয় এবং বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এর ফলে দেশটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।

২০০৯ সালে সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (আইডিএমপি) ও জাইকা’র যৌথ জরিপে দেখা গেছে, যদি রিখটার স্কেলে ৭ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প ঢাকায় ঘটে, তবে প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে এবং আরও ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে প্রায় ৭ কোটি টন কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টি হবে।

এর আগে, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ৭৬ শতাংশ রাস্তা সরু হওয়ায় ভূমিকম্পের সময় উদ্ধারকাজ পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।

এছাড়া, প্রায় ৬০ শতাংশ ভবন তাদের মূল নকশা পরিবর্তন করে নির্মিত হয়েছে, যা বড় ভূমিকম্পে মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনে বিস্ফোরণ ঘটলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

এদিকে নগর সহনশীলতা প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজউক। এই পরিকল্পনায় সরকারি দপ্তর, স্কুল ও হাসপাতালের ভূমিকম্প প্রতিরোধ সক্ষমতা পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে মাঝারি মাত্রার এক ভূমিকম্পে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় ও আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪.০।

ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ভূমিকম্পে মেঘালয়ে কোনো প্রাণহানি বা সম্পদের ক্ষতি হয়নি।

ভূমিকম্পবিদরা জানিয়েছিলেন, ওই কম্পন ছিল অপেক্ষাকৃত হালকা মাত্রার। ফলে, রাজ্যের অবকাঠামোর ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের