হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার করা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

বৃহস্পতিবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৫,

৮ কার্তিক ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৫,

৮ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার করা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৩:৪৮, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

Google News
হাসিনার বিচার না হলে জুলাই শহীদদের ওপর অবিচার করা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল

শেখ হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি দিতে না পারলে শহিদ ও আহতদের প্রতি অবিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে যুক্তি উপস্থাপনকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জুলাই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। শেখ হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি দিতে না পারলে শহিদ ও আহতদের প্রতি অবিচার করা হবে। এ সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি। পরে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। দুই পক্ষই যেকোনো মূল্যে ন্যায়বিচার পাবে।

এদিন আলোচিত এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। পরে জুলাই গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন নির্ধারণে আগামী ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর টানা পঞ্চম দিনে এসে শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে প্রসিকিউশন। পরে সেদিনই আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর শেখ হাসিনার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনকালে তাকে নিরপরাধ দাবি করে তার খালাস চান রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন।

এই মামলায় প্রসিকিউশন থেকে ৫৪ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়াও আলোচিত এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে মামলার মূল দুই আসামি পলাতক থাকায় কোনো সাফাই সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ পাননি তারা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এরমধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহিদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। অন্যদিকে সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের