ঘরোয়া পদ্ধতিতে রূপচর্চা হবে খুব সহজেই

প্রাচীনকাল থেকেই নারীদের রূপচর্চার প্রচলন রয়েছে। তবে ইদানীং সময় ও উপকরণের অভাবে সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে হলে  প্রতিদিন ফেসপ্যাক বা মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

মাস্ক বা ফেসপ্যাক ত্বকের যেকোনো সমস্যা দূর করতে ভুমিকা রাখে। সপ্তাহে কমপক্ষে দুদিন ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। আজ আমরা আলোচনা করবো কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।

প্যাক ১: 
টমেটো এবং নারিকেল তেলের তৈরি প্যাক ব্যবহার করে আমরা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারি। এক চামচ টমেটোর জুস, ও দুই চামচ নারিকেলের দুধের সাথে মেশানো প্যাক ব্যবহার করলে রাতারাতি ফলাফল পাওয়া যায়। টমেটোতে থাকা ফ্রুট- এসিড এবং নারিকেলের দুধ ত্বক পরিস্কার রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে খুবই কার্যকরী উপাদান।

প্যাক ২: 
টক দই খুব উপকারী একটি উপাদান ত্বকের যত্নে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড হলো প্রাকৃতিক আলফা- হাইড্রোক্সিল নামক এক ধরনের অ্যাসিড, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। অপরদিকে হলুদে আছে কারকিউমিন নামক একটি অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান যা কিনা আন্টি মেলানোজেনিক এর প্রভাবে ত্বকে প্রবেশ করে দারুণভাবে উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সেক্ষেত্রে দুই চামচ টক দই এর সাথে ১/৪ চামচ হলুদ মেশানো প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। 

ত্বক টানটান করতে:
অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান হওয়ার কারনে বা বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেখা যায় ত্বক ঝুলে যেতে। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি বিভিন্ন রকম তেল ব্যবহারে ত্বক টানটান রাখা যায়। এছাড়া কিছু ফেসপ্যাক ব্যবহার করলেও ত্বক টানটান থাকে। 

যেমন আমন্ড অয়েল। এটি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সমৃদ্ধ যা ত্বকের মসৃণতা বাড়ায়। এবং ত্বকের ঝুলানো রোধ করে ত্বক টানটান রাখে। প্রতিদিন গোসলের আগে পুরো শরীরে বা মুখে ২০ মিনিটের জন্য আমন্ড অয়েল মাসাজ করে গোসল করে নিতে হবে।

এছাড়া সরিষার তেলে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই ত্বকের ঝোলানো ভাব দূর করে এবং ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল চুলায় কুসুম গরম করে গোসলের আগে পুরো শরীরে বা মুখে মাসাজ করতে হবে। এসময় ত্বকের নিচ থেকে উপরের দিকে আলতোভাবে ৫ মিনিট মাসাজ করে গোসল করে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিনবার এই তেল ব্যবহার করতে হবে। তবে হ্যা সরিষার তেল ব্যবহারে জলন হলে ত্বকের উপর হালকা ভাবে প্যাচ টেস্ট করে নিন।

নারিকেল তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বক পরিস্কার রাখে এবং ত্বকের কোষগুলো কে সতেজ করে তোলে। ত্বকের পুস্টি সাধনেও নারিকেল তেল ভুমিকা রাখে। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের ভেতর লুকিয়ে থাকা রেডিক্যাল শোষন করে নিয়ে ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে।