ছবি ইন্টারনেট
মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু হ্রাসের লক্ষ্যে দেশব্যাপী নতুন করে আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন আজ রোববার। গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধ ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তাকে শাস্তির আওতায় নেওয়া হবে। বিধিনিষেধ চলাকালে জনগণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে কুরবানীর ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটির পর আজ রোববার থেকে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবার অফিসসমূহ খোলা হয়েছে। ফলে কিছু কিছু সড়কে অফিসগামী মানুষ ও যান চলাচল বেড়েছে।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও রাজধানীতে কাজের খোঁজে বেরিয়েছেন অসংখ্য কর্মজীবী মানুষ। যারা রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন। তবে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় বেশিরভাগই পায়ে হেঁটে এবং বেশি রিকশা ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন চেকপোস্টে কড়া নজরদারিও লক্ষ্য করা গেছে। দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি থামিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইছেন।
কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, সবাই কাজে যাচ্ছে। আমরা ১০০ গাড়ি থামালেও কাউকে আটকাতে পারছি না। গাড়ি ইশারা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির গ্লাস নামিয়ে কেউ বলেন ব্যাংকে যাচ্ছি, হাসপাতালে যাচ্ছি, টিকা দিতে যাচ্ছিসহ নানা বিষয়। কাউকে আটকে রাখার সুযোগ নেই।
প্রথম দিন আমরা ডাক্তার বা হাসপাতাল রিলেটেড ছাড়া কাউকে যেতে দেইনি। আর আজ যুক্ত হয়েছে ব্যাংক। নিশ্চয়ই একদিন পরে আরও কোনো না কোনো কিছু যুক্ত হবে এই কাতারে। ফলে বাড়তেই থাকবে রাস্তাঘাটে গাড়ি ও মানুষের সংখ্যা।
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে শনিবার লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে দুইদিনে গ্রেফতার হলো ৭৮৬ জন।
এছাড়া ১৩৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা আদায় করা হয়। গতকাল শনিবার বিধিনিষেধ নিশ্চিতে দ্বিতীয় দিনে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রেডিওটুডে নিউজ/এসআই