সংগৃহীত ছবি
শনিবার সরকারের আমন্ত্রণে মাওয়া প্রান্তের সুধী-সমাবেশে অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সমাবেশ শেষে হুইল চেয়ারে করে ফেরার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এসময় বেশ ক’টি টিভি চ্যানেলের কর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে অনুভূতি জানতে চান।
জাফরুল্লাহ চৌধুরি এসময় বলেন বলেন, একাত্তর সালে যুদ্ধে অংশ নিতে পেরেছিলাম। তবে সেদিন একটি অপূর্ণতা ছিলো। ৭-ই মার্চ মিস করেছিলাম। স্বাধীনতার পর আজকে সেই অপর্ণতা দূর হলো। এতো বড় অর্জনে নিজে স্বাক্ষী হতে পারলাম। এসময় জাতির এই সাহসী উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিয়েছেন। জাতি এতে গৌরবান্বিত। প্রধানমন্ত্রী প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন, যেমনটি তার বাবা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন ৭ মার্চে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সবাই বলেছিল— এই সেতুর নাম হাসিনা সেতু করতে। উনি করেননি। পদ্মা সেতু নাম রেখেছেন। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পারাটা অত্যন্ত আনন্দঘন অনুভূতি। একাত্তরেও মুক্তিযুদ্ধ করতে পেরেছি। আজকে পদ্মা সেতু নিজের চোখে দেখতে পেরেছি। এটির মাধ্যমে আমার জীবনের বড় একটি আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়ে গেছে। আমি জাতির উল্লেখযোগ্য ঘটনারগুলোর মধ্যে একটাতে অনুপস্থিত ছিলাম, সেটি ৭ মার্চের ভাষণ। এ ছাড়া জাতির সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় আমি ছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখন দেশের মানুষের দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বড় বড় কাজ করেই ফেলেছেন। এখন মানুষের দিকে নজর দিতে হবে। একত্রে মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।
তিনি বলেন আমাদের জীবন থেকে হিউমার (রসবোধ) কমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী হিউমার করে বলেছেন ‘চুবাবো, উঠাবো’ এটাকে এতো সিরিয়াসলি না নিলেই হতো।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া দরকার ছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনাকে দাওয়াত দিতো পারতো। তার আগে উনাকে জামিন দিতে পারতো। উনি আসতে পারতেন ।
একই সময় পদ্মা সেতু দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স টোল ফ্রি এবং বিদেশিদের গাড়ির দ্বিগুন টোল নির্ধারণ করা উচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রেডিওটুডে নিউজ/এমএস