মঙ্গলবার,

১৯ মার্চ ২০২৪,

৫ চৈত্র ১৪৩০

মঙ্গলবার,

১৯ মার্চ ২০২৪,

৫ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি পাচ্ছে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ২০ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ২২:৫৬, ২০ অক্টোবর ২০২১

Google News
ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি পাচ্ছে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ি

ফাইল ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আমের পর এবার জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর (জি-আই) সনদ পেতে যাচ্ছে রসালো, আঁশবিহীন, আকারে বিশাল ফজলি আম এবং কালো ডোরা কাটা বাগদা চিংড়ি। এরইমধ্যে ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ফজলি আমের জিআই সনদের আবেদন করেছিল ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। আর বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর। খবর বিবিসি বাংলার।

সরকারের পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার মোঃ আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে। আর দিন পনেরোর মধ্যে সনদ দেবার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

তিনি জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী স্বীকৃতির জন্য আবেদন আসার পর এই দুটি কৃষি পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক যাচাই করে দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। এই পণ্যের নির্দেশক নিয়ে এখনো কেউ আপত্তি করেনি। জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

কৃষিপণ্য দুটি কেন বাংলাদেশের জিআই সনদ কেন পাবে সেটি ব্যাখ্যা করে মোঃ আবদুস সাত্তার বলেন, যে পণ্য একটি অঞ্চলের ঐতিহ্যের অংশ সেটির ক্ষেত্রে এই সনদ দেয়া হয়। আবহাওয়া, মাটি, পানি ও ভৌগলিক গঠনের উপরে যেকোনো কৃষি পণ্যের বৈশিষ্ট্য, ঘ্রাণ ও স্বাদ নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলেই সেটা হবে। যেমন, এশিয়ার বেশ কিছু দেশে ‘ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প’ বা বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এখানে যেটা হয় সেটার বৈশিষ্ট্য অন্য কোনটার সাথে মিলবে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোট নয়টি পণ্য এপর্যন্ত জিআই সনদ পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালিজিরা, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি।

রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ/এসএস

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের