শনিবার,

০৪ মে ২০২৪,

২১ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

০৪ মে ২০২৪,

২১ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

শর্তের অগ্রগতি দেখতে আবারও ঢাকায় এসেছে আইএমএফ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Google News
শর্তের অগ্রগতি দেখতে আবারও ঢাকায় এসেছে আইএমএফ

আবারও ঢাকায় এসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন, সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়কে সামনে রেখে ঢাকা সফর করছে আইএমএফ মিশন। 

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, নিট রিজার্ভের উন্নতি ছাড়া আইএমএফের সব শর্তই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। ফলে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পেতে সমস্যা হবে না।

জানা গেছে, গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এর পর গত ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুন মাসের মধ্যে তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় করা হতে পারে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে মোট সাত কিস্তিতে পুরো অর্থ দেওয়ার কথা।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক ড. জাহিদ হোসেনের মতে, যেহেতু সরকারি ঋণ, একদিকে যেমন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের আউটফ্লোটা বাড়িয়ে দেবে, অন্যদিকে সরকারের বাজেটে ঋণ পরিশোধের খরচটাও বেড়ে যাবে। যদি আমরা রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে না পারি, তাহলে ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে এমনটা হওয়া উচিৎ নয় বলে দাবি এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদের। 

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় কিস্তির জন্য নির্ধারিত ছয়টি পরিমাণগত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। সরকার ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। ঋণের আরেকটি শর্ত হলো, বাজেট ঘাটতি যেন ৯০ হাজার ৫২০ কোটি টাকার বেশি না হয়। ডিসেম্বরে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা।

এ ছাড়া ঋণের দুটি শর্ত হলো, ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারের সামাজিক ব্যয় ও মূলধন বিনিয়োগ হতে হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকার এ দুই খাতে প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের