বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ও বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র—রূপপুর প্রকল্প এখন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। প্রথম ইউনিটের মূল ও সহায়ক ট্রান্সফর্মারের কমিশনিং সম্পন্ন হয়েছে, যা কেন্দ্রটির উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে।
আজ শনিবার (২৮ জুন) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রোসাটম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ইউনিট-১–এর অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়ক ট্রান্সফর্মারও সফলভাবে কমিশন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই ট্রান্সফর্মারগুলো দ্বৈত মোডে কাজ করতে সক্ষম—অর্থাৎ, এটি জাতীয় গ্রিড ও জেনারেটর—উভয় উৎস থেকেই বিদ্যুৎ নিতে পারবে।
এর আগে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য কেবল স্ট্যান্ডবাই ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হতো।
রূপপুর প্রকল্পে নিয়োজিত এটমস্ত্রয়এক্সপোর্টের (রোসাটমের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান) বাংলাদেশ প্রকল্পের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরী বলেন, এই অর্জন সংশ্লিষ্ট সকল প্রকৌশলী, কারিগরি দল এবং সমন্বয়কারী সংস্থার আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের প্রতিফলন। প্রতিকূল লজিস্টিক ও বৈরী আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কাজটি সময়মতো ও নিরাপদে সম্পন্ন হয়েছে, যা ইউনিট-১–এর নির্ভরযোগ্য চালুর জন্য একটি বড় অগ্রগতি।
রোসাটম জানায়, শিগগিরই প্রকল্প এলাকায় শুরু হবে ‘হট মিডিয়া টেস্ট’সহ একাধিক নিরাপত্তা যাচাই পরীক্ষা। এসব পরীক্ষার সময় কেন্দ্র থেকে বাষ্প নির্গমনের ফলে মাঝে মাঝে উচ্চ শব্দ শোনা যেতে পারে, যা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও পূর্ব পরিকল্পিত। স্থানীয় জনগণের জন্য এতে কোনো ধরনের স্বাস্থ্য বা নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
রোসাটম আরও জানায়, প্রতিটি পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে পরিচালিত হচ্ছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নির্ধারিত মান পূরণ করাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম
