তিন বছর আগে বন্ধ হওয়ে যাওয়া স্টিমার আবারও ফিরছে জলে

শুক্রবার,

২৪ অক্টোবর ২০২৫,

৯ কার্তিক ১৪৩২

শুক্রবার,

২৪ অক্টোবর ২০২৫,

৯ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

তিন বছর আগে বন্ধ হওয়ে যাওয়া স্টিমার আবারও ফিরছে জলে 

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:২৭, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

Google News
তিন বছর আগে বন্ধ হওয়ে যাওয়া স্টিমার আবারও ফিরছে জলে 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, তিন বছর আগে বন্ধ হওয়ে যাওয়া স্টিমার আবারও চলবে। ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চালু করা হচ্ছে এই যাত্রীসেবা। তবে তা বাণিজ্যকভাবে নয়। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সদরঘাটে স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে যোগ দিয়ে এ কথা জানান তিনি।

এসময় নৌ উপদেষ্টা বলেন, নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে চলবে স্টিমারটি। ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে চলাচাল করার পরে চাদঁপুর রুটেও চলবে স্টিমার। 

উপদেষ্টা জানান, নতুন প্রজন্ম ও বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে তুলে ধরতে এ সার্ভিস চালু থাকবে। তবে বাণিজ্যিক ভাবে নিয়মিত চলবেনা। 

যাত্রীরা বলছেন, তারা আবারও যেমন ঐতিজ্যবাহী স্টিমারে ভ্রমণ করতে পারবেন, তেমনি দক্ষিণঅঞ্চলের নদীপথ গুলোর সঙ্গে মানুষ পরিচিত হতে পারবে।

স্টিমারের মাস্টাররা বলছেন, ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর স্টিমারসেবা বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে দেড়শ বছরের ঐতিহ্য থেমে যায়। তিন বছর পর আবার চালু হওয়ায় খুশি তারা। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর স্টিমারসেবা বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে দেড়শ বছরের ঐতিহ্য থেমে গিয়েছিলো। তবে সেটি আবারও চালু হয়েছে সপ্তাহে একদিন চলাচলের জন্য।

বিআইডব্লিউটিসির একটি সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিনে দুটি স্টিমারের পুনর্বাসনকাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে পানিতে চালানো হয়েছে। সাজসজ্জার কিছু কাজ বাকি, এখন সেগুলো চলছে। এরপর সার্ভেসহ অন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে একটি স্টিমার ঢাকা-বরিশাল নৌপথে পর্যটক সার্ভিস হিসেবে যুক্ত হবে। আপাতত একটি স্টিমার সপ্তাহে এক দিন চলাচল করবে। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশে কেউ ভাড়া নিয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে সেই সুযোগ রাখা হবে।

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, স্টিমারের যাত্রা শুরু হয়েছিলো ১৮৮৪ সালে। কয়লাচালিত প্যাডেল স্টিমার প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ও পরে ঢাকা থেকে খুলনার নৌপথে চলাচল করত। পথে চাঁদপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, মোরেলগঞ্জ, হুলারহাট, সন্ন্যাসী, কাউখালী ঘাটে যাত্রাবিরতি দিতো। ঔপনিবেশিক সময়ে খুলনার সঙ্গে ভারতের রেল যোগাযোগ শুরু হলে নৌপথে যাত্রী পরিবহন গুরুত্ব পায়। তখন বহরে ছিলো ফ্লোটিলা কোম্পানির ১৪টি স্টিমার। পরে পিএস গাজী, পিএস অস্ট্রিচ, পিএস মাহসুদ, পিএস লেপচা, পিএস টার্ন, পিএস সেলার মতো ঐতিহ্যবাহী স্টিমারের সংযোজন ঘটে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের