
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, দেশে আর চাঁদাবাজি দেখতে চায় না জনগণ। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজদের রক্ষা করা যাবে না। বরং কেউ যদি তাদের প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তাকেও চাঁদাবাজির অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সারজিস আলম বলেন, “বিগত বছরগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও টাঙ্গাইলের মানুষ সে বরাদ্দ পায়নি। যা এসেছে, তারও বেশির ভাগ লুটপাট হয়েছে। নেতাকর্মীদের পকেটে গেছে উন্নয়নের টাকা।”
তিনি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, “চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা আপনাদেরকে জনগণের পক্ষে দেখতে চাই। কোনো দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চাই না প্রশাসনকে।”
মিডিয়ার ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, “আগামীর বাংলাদেশে কোনো গণমাধ্যম যেন ব্যক্তিগত বা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার না হয়। প্রোপাগান্ডা সেলের অংশ হয়ে যেন আর কোনো সংবাদমাধ্যম কাজ না করে। কিছু গণমাধ্যম ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে দালালি করেছে, তাদের কর্মীরাও আজ তাদের পরিচয় দিতে সংকোচ বোধ করে। আমরা চাই না ভবিষ্যতের বাংলাদেশে মিডিয়া আবার সে অবস্থায় ফিরে যাক।”
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের দুর্দশা তুলে ধরে সারজিস বলেন, “এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প শুধু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ধ্বংসের মুখে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে আবারো এই শিল্প টাঙ্গাইলকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে পারবে।”
জাতীয় ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসকে শুধু একজন নেতাকে কেন্দ্র করেই উপস্থাপন করা হয়। অথচ শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীর মতো নেতারা ইতিহাসের কোণে পড়ে আছেন।”
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র সদস্যসচিব সারোয়ার নিভা ও ডা. তাজনুভা জাবিন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম