কোনো ধরনের উগ্র কার্যকলাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সারাদেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপপরিকল্পনা বা অপকৌশল আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু ঘিরে সৃষ্ট অরাজক পরিস্থিতির বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি আন্দাজ করে আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিলো।
বিএনপি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারকে আমরা অনুরোধ করবো, যেন তারা সব ধরনের কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়। তবে এক্ষেত্রে সরকারের কিছু বিষয় নিয়ে সমালোচনারও জায়গা আছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আন্দাজ করা উচিত ছিলো। গোয়েন্দা প্রতিবেদন থাকা দরকার ছিলো এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আগে থেকেই নেওয়া উচিত ছিলো।
তিনি আরও বলেন, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যের স্থান আগে থেকেই নির্ধারণ করা হয়েছিলো বলে আমরা দেখেছি। এর মাধ্যমে সারাদেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার কোনো অপপরিকল্পনা বা অপকৌশল আছে কি না তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরাপত্তাজনিত সব বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে এবং সরকার এক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি কোনো জনসভা নয়। এটি ৩০০ ফুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। আজই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। তারেক রহমান জনগণের সামনে উপস্থিত হয়ে জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাবেন। এটি সদস্যপদ বিতরণ বা জনসভা নয়।
তিনি জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

