বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও অভ্যর্থনাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় সৃষ্ট জনদুর্ভোগের জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি। বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতির কারণে রাজধানীর স্বাভাবিক জনজীবনে যে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে, তাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে বিএনপি গভীরভাবে মর্মাহত বলে জানিয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দুঃখ প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিটি দুপুর ২টা ৮ মিনিটে বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সপরিবারে দেশে ফেরেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকায় সমবেত হন। এতে ঢাকা মহানগরী কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিপুল মানুষের উপস্থিতির কারণে স্বাভাবিক জনজীবনে কষ্ট ও দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় বিএনপি গভীরভাবে মর্মাহত। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগ ও অসুবিধার জন্য দলটি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দলের জন্য আবেগঘন হলেও এর ফলে রাজধানীবাসীর যে ভোগান্তি হয়েছে, সে বিষয়টি বিএনপি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ নির্বাসন শেষে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারেক রহমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি সরাসরি যান পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে। বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনা মঞ্চ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার পথজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। এই পথ পাড়ি দিতে তারেক রহমানের সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা।
পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফুট সড়ক) ছিল লোকে লোকারণ্য। সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। নেতা-কর্মীদের ভিড় ঠেলে সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে হাসপাতালে পৌঁছাতে তার সময় লাগে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা। পরে তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় ফেরেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

