ইসরাইলের ডলফিন ক্লাসের একটি সাবমেরিন
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের একটি সাবমেরিন লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। সাবমেরিনটি বাব-এল মান্দেব প্রণালী পার হয়ে পারস্য উপসাগরের দিকে রওয়ানা দিতে পারে এবং ধারণা করা হচ্ছে তার সম্ভাব্য লক্ষ্য হচ্ছে ইরান।
এরইমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে, ইসরাইলের ডলফিন ক্লাসের একটি সাবমেরিন সুয়েজ খাল দিয়ে গত বুধবার ৪ আগস্ট গোপনে লোহিত সাগরে প্রবেশ করেছে। ইসরাইলের দুটি ডেস্ট্রয়ারও একইদিন সুয়েজ খাল পার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ডেস্ট্রয়ার দুটি ইসরাইলের সাবমেরিনকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
চলতি মাসে ওমান সাগরের উপকূলে ইসরাইলি মালিকানাধীন একটি ট্যাংকারে হামলার পর তেল আবিব এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ওই হামলার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্র ব্রিটেন এবং আমেরিকা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে অভিযুক্ত করেছে। তেহরান এ অভিযোগ চরমভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে, গত ৪ আগস্ট বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ তাদের সর্বাধুনিক সাইবার সরঞ্জাম সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করেছে। পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় জাহাজ ও বিমান চলাচল বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ইসরাইল সাইবার তৎপরতা শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী এবং ওমান সাগরে ইরানকে চ্যালেঞ্জ না করার জন্য যখন বারবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হচ্ছে তখন ইসরাইল সাবমেরিন পাঠাচ্ছে।
ইসরাইলের উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিযানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছেন আমেরিকায় নিযুক্ত ইসরাইলের সাবেক সামরিক অ্যাটাচে জেনারেল আমোস ইয়াদলিন। তিনি পারস্য উপসাগরে ইরানের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে না জড়াতে জোরালোভাবে তেল আবিবকে নিরুৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, পারস্য উপসাগরে ইরানের একচ্ছত্র সামরিক আধিপত্য রয়েছে।
ইসরাইলের সাবেক ওই সামরিক কর্মকর্তা ইরানের ড্রোন শক্তি এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কথা তুলে ধরেছেন। পার্সটুডে।
রেডিওটুডে নিউজ/এসআই/ইকে