শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

অশুভ শক্তির বিনাশ করতে আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ

সাখাওয়াত সুমন

প্রকাশিত: ২১:১০, ৩০ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ১৯:৪৬, ৩১ আগস্ট ২০২১

Google News
অশুভ শক্তির বিনাশ করতে আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ

বলা হয়ে থাকে, দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করতে কৃষ্ণ নামই যথেষ্ট। তাইতো এদিন কৃষ্ণ বন্দনায় মেতে উঠেন হিন্দু ধর্মালম্বিরা। জন্মক্ষণ মধ্যরাতে স্নান করিয়ে দোলনায় স্থাপন করা হয় শিশু কৃষ্ণমূর্তিকে। পরানো হয় নতুন পোশাক। তাই তো দিনভর চলে তারই প্রস্তুতি।

সারাদিন উপবাস থেকে মধ্যরাতে পুজা শেষে প্রসাদ গ্রহণ করবেন ভক্তরা। তারই আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত শিল্পকলা একাডেমীর নৃত্য প্রশিক্ষক শ্রীমতি আলো রানী মৈত্র। রেডিও টুডেকে আলো জানান, “ভগবানের অবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে এসেছিলেন বলেই এখনো ভলো মানুষ আছে পৃথিবীতে। তাঁর আবির্ভাব হয়েছিলো বলেও পৃথিবী এখনো সুন্দর।”

কৃষ্ণর জীবন-কথা নিয়ে এদিন বিভিন্ন প্রদর্শনী ও কীর্তণে যোগ দেন ভক্তরা। তুলে ধরা হয় তাঁর সাহসিকতা, বন্ধুত্ব আর রাধা কৃষ্ণের রাসলীলা। তবে এবার করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নেই আড়ম্বরপূর্ণ কোন আয়োজন। জন্মাষ্টমীর দিনেও ডিউটিতে থাকা বারডেম হাসপাতালের ডাক্তার তমাল বিশ্বাস বললেন, “এবার করোনা পরিস্থিতিতে কৃষ্ণকীর্তণ আর র‌্যালির মত আয়োজন না থাকলেও তা সবার জন্য মঙ্গলই বয়ে আনবে। এই দিনে প্রার্থণা, দ্রুতই হোক মহামারীর বিনাশ “

পুরাণ মতে, ভাদ্রমাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দেবকি ও বাসুদেবের কোল আলো করে মথুরায় জন্ম হয় শ্রীকৃষ্ণের। সেই সময় মথুরার রাজা ছিলেন কংস। ভবিষ্যৎবানী ছিল, বোন দেবকির এই পুত্রই হত্যা করবে তাকে। আর তাই অত্যাচারি কংসের হাত থেকে শিশু কৃষ্ণকে রক্ষা করতে জন্মের পরপরই ঝড়বৃষ্টির রাতে যমুনা পার হয়ে বৃন্দাবনে গিয়ে নন্দবাবা ও যশোধার কাছে কৃষ্ণকে রেখে আসেন বাসুদেব। পরিবর্তে এক কন্যা সন্তানকে দেখানো হয় রাজা কংসকে। ওদিকে বৃন্দাবনেই বেড়ে ওঠেন শিশু কৃষ্ণ।

বড় হয়ে এসব জেনে, আর পূর্ব জন্মের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতেই মথুরায় গিয়ে কংসকে হত্যা করেন শ্রীকৃষ্ণ। দেখা হয় বাবা মায়ের সাথে। 
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি জানান, “অনিষ্টের বিনাশ করতেই ধরাধামে আবির্ভাব হন শ্রীকৃষ্ণ। সারা পৃথিবীতেই এখন শুভ আর অশুভের দ্বন্দ চলছে, মানুষ হিসেবে তাই প্রত্যেককেই শুভ শক্তির পক্ষে থাকতে হবে। প্রত্যেকে যদি অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়, আর নিজ ধর্মের শুভবানী গুলো ছড়িয়ে দেয় তাহলেই বিজয় হবে শুভ শক্তির।”

পুরাণ অনুসারে পাঁচ হাজার বছর আগে এই ধরাধামে অবতীর্ণ হন শ্রীবিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণ। তাঁর আবির্ভাব তিথি প্রতি বছর জন্মাষ্টমী নামে পালিত হয়। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ছাড়াও এই দিনটি গোকুলাষ্টমী নামেও পরিচিত।

রেডিওটুডে নিউজ/এসএস

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের