
ফাইল ছবি
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিম বান্দার জন্য ফরজ কাজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আসরের নামাজ পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ সন্ধ্যার পূর্বে সাধারণত এই সময় মানুষ কাজকর্মে বেশি ব্যস্ত থাকে। এবং তারা দিন দুনিয়ায় এতটাই ব্যস্ত থাকে যে আসরের নামাজ আদায় করার জন্য কোনো গুরুত্ব দেয় না। তাই আসরের নামাজ কে গুরুত্ব সহকারে পালনের জন্য বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
শুধু আসরের নামাজই নয় প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আবশ্যক। তবে আসরের নামাজের ক্ষেত্রে এবং এর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
আজকে আমরা জানবো আসরের নামাজের ফজিলত এবং গুরুত্ব সম্পর্কে যেই হাদিস সমূহগুলো বর্ণিত হয়েছে সে সম্পর্কে:
১. এক হাদিস হতে বর্ণিত আবু মালিহো (রাঃ) বলেন, এক যুদ্ধে আমরা বুরাইদাহ (রাঃ) বললেন, শীঘ্রই আসরের নামাজ আদায় করে নাও কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,' যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার সকল আমল নষ্ট হয়ে যায়।'( বুখারী ৫৫৩)
২. অন্য একটি হাদিসে আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ )হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন রাসূল( সাঃ )আসরের ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নত পড়তেন। (তিরমিজি ৪২৯, সুনানে ইবনে মাজাহ ১১৬১)
৩. আবু হুরাইরা( রাঃ ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সাঃ ) আরো বলেন যে, 'তোমাদের কেউ যদি সূর্যাস্তের আগে আসরের নামাজে এক সিজদা পায়, তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ করে নেয়। আর যদি সূর্যদয়ের আগে ফজরের সালাতের এক সেজদা পায় তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ করে নেই।' (বুখারি হাদিস :৫৫৬)
মহান রাব্বুল আলামিন মুসলিম বিশ্বের সকল উম্মাহকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে বুঝে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।
(আমিন )
এস আর