
ভারতীয় স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া তৈরি পোশাক ও খাদ্যসামগ্রীর মতো পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আজ শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তর (ডিজিএফটি) এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশে যাওয়া বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
চীনের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতায় ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘সমুদ্রবন্দরবিহীন (ল্যান্ডলকড)’ অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করেন। ভারত এই মন্তব্যকে অপমানজনক বলে মনে করছে। দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মহল মনে করছে, এতে তাদের আঞ্চলিক যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত অগ্রগতিকে হেয় করা হয়েছে।
ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি এবং চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আর বাংলাদেশি পণ্য ঢুকতে পারবে না। এসব বন্দর দিয়ে আগে বাংলাদেশ তার ৯৩ শতাংশ রপ্তানি পাঠাত।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন এসব পণ্য শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দর কিংবা মহারাষ্ট্রের নাভা শেভা বন্দর দিয়ে যেতে পারবে।
ভারতের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ একতরফাভাবে ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার পেলেও ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে একই ধরনের সুবিধা দেয়নি। ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেই এই সিদ্ধান্ত। পারস্পরিকতার ভিত্তিতে চলতে হবে, নাহলে একতরফা ছাড় আর নয়।’
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, মেলামাইন, আসবাবপত্র, জুস, কোমল পানীয়, বেকারি ও প্রসেসড ফুডসহ একাধিক রপ্তানি পণ্য ভারতে পাঠাতে বাধার মুখে পড়বে। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা আসবে তৈরি পোশাক খাতে, যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম