
কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের মর্ম আদর্শিক লড়াইকে প্রধান করা নয়। গণ-অভ্যুত্থানের মর্ম হচ্ছে গণসার্বভৌমত্ব কায়েম করা। গণসার্বভৌমত্ব মানে হচ্ছে জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের হাজার হাজার তরুণ জীবন দিয়েছেন। তাঁরা কোনো বিশেষ ধর্ম কায়েম করার জন্য লড়াই করেননি, কোনো বিশেষ মতাদর্শ কায়েম করার জন্য লড়াই করেননি।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে কুরআন পাঠ আন্দোলন আয়োজিত ‘সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার কুরআন কী বলে’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমি সম্প্রতি গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে যে বিরোধ দেখছি তা হলো সাংস্কৃতিক বিরোধ। মানে ধর্ম নিয়ে সেকুলার বনাম ইসলামপন্থী বিরোধ।
দীর্ঘদিন পর এ ধরনের বিরোধ গড়ে উঠার একটাই কারণ— গণ-অভ্যুত্থানকে পূর্ণ বিজয়ে নিতে না পারা। এই পূর্ণ বিজয়ের আগেই ছাত্র-তরুণদের আত্মত্যাগকে নস্যাৎ করার একটি পক্রিয়া আমাদের সমাজে চলছে।’
আওয়ামী লীগকে ইসলামবিরোধী সংগঠন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আইন করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সে ফ্যাসিস্ট সংবিধান তৈরি করে ইসলামবিরোধী কাজ করেছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘যে রাষ্ট্র জালিম, যে রাষ্ট্র জুলুম করে আপনি যদি সে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই না করেন, তবে আপনি নিজেকে মুসলিম দাবি করতে পারবেন না। নিজেকে রাসুলের উম্মত দাবি করার কোনো অধিকার আপনার নেই। ফলে আজকে ছাত্র-তরুণরা যে লড়াই করেছে অবশ্যই তাঁরা ইসলামের পতাকা তুলে লড়াই করেছে।
ফরহাদ মজহার এ-ও বলেন, ‘৫ আগস্টে বাংলাদেশ নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে হাজির হয়েছে। কারা গণ-অভ্যুত্থান করেছেন
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম