
আর্জেন্টিনার নারী ফুটবল দলকে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ২০২৩ সালে নেওয়া তাঁর সেই উদ্যোগ বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি। এবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল আর্জেন্টিনার মেয়েদের সঙ্গে আফঈদা খন্দকার-ঋতুপর্ণা চাকমাদের ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছেন।
২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপের আগে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সঙ্গে ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলার জন্য ইতোমধ্যে ২০-২৫টি দেশকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তার মধ্যে আর্জেন্টিনা ছাড়াও লাতিন আমেরিকার প্যারাগুয়ে এবং কোস্টারিকার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ মেয়েদের সঙ্গে ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে বলে গতকাল সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বাফুফে সহসভাপতি ফাহাদ করিম।
‘অক্টোবর-নভেম্বরে দুটি উইন্ডো আছে। আমরা আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থাকে মেইল করেছি। এছাড়াও ২০-২৫টি দেশকে বাংলাদেশের মেয়েদের সঙ্গে ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছি। তাদের বলেছি, বাংলাদেশে আসতে পারবে কিনা, না আসতে পারলে জানাতে। প্রয়োজনে আমরা তাদের দেশে গিয়ে খেলব’।
প্রথমবারের মতো মেয়েদের এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ ‘বি’তে বাংলাদেশ খেলবে শক্তিশালী চীন, উত্তর কোরিয়া এবং উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। ১২ দলের মধ্যে সেরা আটে থাকতে পারলে অলিম্পিক এবং বিশ্বকাপে ফুটবলে খেলার সুযোগ থাকবে। তাই তো গ্রুপিং চূড়ান্ত হওয়ার পরই মেয়েদের নিয়ে ছয় মাসের পরিকল্পনা সাজিয়েছে বাফুফে। সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাম্প শুরু হবে। আর অক্টোবর-নভেম্বরের উইন্ডোতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার চিন্তা।
যেহেতু টানা দুবার সাফের শিরোপা জিতেছে, তাই দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের বিপক্ষে ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলবে না বাংলাদেশ। ইউরোপ, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যেই ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা। এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ড, হংকং, কোরিয়া, জাপান ও চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাফুফে। ইউরোপে সার্বিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বড় মঞ্চের জন্য এখন থেকেই স্বপ্না রানী-মনিকা চাকমাদের তৈরি করতে চাচ্ছেন ব্রিটিশ কোচ। যে কারণে তিনি বাফুফের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। সৌদি আরবে গিয়ে ক্যাম্প করা ছাড়াও কমপক্ষে চারটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ইতোমধ্যে বাফুফে কর্তাদের বলেছেন।
ফাহাদ করিম জানান, ‘আমরা ধরেই নিয়েছি তিনটা দলের সঙ্গে হারব, তাতে সমস্যা নেই। মেয়েরা এশিয়ান পর্যায়ে খেলতেছে– এটাই বড় বিষয়। এমনও হতে পারে, আমরা উজবেকিস্তানকে হারাতে পারি। তাই এই মেয়েদের নিয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমাদের টার্গেট হলো, এশিয়ান কাপের আগে কমপক্ষে ৮টি ম্যাচ খেলা। এই ম্যাচগুলো আয়োজন করতে অনেক ফান্ডিং দরকার হবে। অর্থ জোগাড় করাটাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা মেয়েদের জন্য বেশি ম্যাচের ব্যবস্থা করব।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম