
শেষ হয়েছে বিপিএলের একাদশতম আসর। সদ্য শেষ হওয়া এই আসরেও সঙ্গী হয়েছে বিতর্ক। মাঠের খেলায় দর্শকদের মন জুড়ালেও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া, খেলা বর্জন কিংবা ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন বিতর্কিত করেছে টুর্নামেন্টটিকে। তবুও অন্য আসরের তুলনায় এবারের আসরকে সফল মনে করছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
ফাহিমের মতে অতীতের তুলনায় সদ্য শেষ হওয়া বিপিএল অনেক বেশি প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে। বিপিএলের সাফল্যের কারিগর হিসেবে টিকিট ব্যবস্থা এবং উইকেটকে তুলে ধরেছেন তিনি।
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসসকে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বলেন, ‘এবারের টিকিট ব্যবস্থা ছিল সুশৃঙ্খল। অনলাইন টিকিট ব্যবস্থায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বেশিরভাগ টিকিটই সাধারণ মানুষ পাবে-অনলাইন টিকিট ব্যবস্থা এটা নিশ্চিত করেছে। যা আগেরবারের মতো নয়।’
ফাহিম আরও বলেন, ‘সাধারণত বিপিএল সবসময়ই জনসাধারণকে আকর্ষণ করে। কিন্তু এবার অবিশ্বাস্য সাড়া ছিল, যা আমাদের জন্য সত্যিই সন্তুষ্টির। প্রতিটি ম্যাচেই স্টেডিয়াম জমজমাট ছিল। মাঠে প্রচুর দর্শক এসেছিল এবং নিজ নিজ দলকে সমর্থন করেছে। আপনি যদি ফাইনাল খেলা দেখেন, টিকিটের প্রচুর চাহিদা ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেভাবে দিতে পারিনি। কারণ বিক্রির জন্য দেওয়ার সাথেই সাথেই টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।’
এবারের বিপিএলের আরেক সাফল্য উইকেট। স্পোর্টিং উইকেট প্রস্তুতের জন্য কিউরেটরদের কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এর ফলে বেশিরভাগই ম্যাচই হাই-স্কোরিং হয়েছে। ফাহিম জানান, পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা বাড়াতে না পারার কারণ হিসেবে প্রায়ই উইকেটকে কাঠগড়ায় তোলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।
তিনি বলেন, ‘উইকেটকে দোষারোপ করা যে ঠিক ছিল, সেটি প্রমাণ করেছে তারা। এই বিপিএলে আমরা দেখেছি বাংলাদেশি ব্যাটাররা ভালো উইকেট পেলে বড় ছক্কা মারতে পারে। ব্যাটার ও বোলারদের জন্য ভালো উইকেট করার পরামর্শ ছিল। আমরা দেখেছি ব্যাটাররা রান উপভোগ করেছে, হাই-স্কোরিং উইকেটেও বোলাররা তাদের দক্ষতা দেখিয়েছে।’
ফাহিম আরও বলেন, ‘বিশেষ করে, আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। তারা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে, এই ফরম্যাটের জন্য অপরিহার্য স্ট্রাইক রেট ধরে খেলেছে। সত্যিই খুব ভালো ছিল। আমি এই মুহূর্তে সব খেলোয়াড়ের নাম বলতে পারছি না তবে নাইম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নুরুল হাসান সোহানের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। যা সত্যিই ভালো ছিল।’