
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তিন বিভাগ–খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অতিভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের নগর এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১০১ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৩০ মিলিমিটার। একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম