সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (ফাইল ছবি, সংগৃহীত)
বিশ শতকের শেষার্ধে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাসিক হিসেবে খ্যাতিমান তিনি। প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম ও সেই সময় নামে ত্রয়ী ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা করে আজো দুই বাংলাতেই অসম্ভব জনপ্রিয় এই ছোটগল্পকার, সাংবাদিক ও কলামিস্ট। এমনকি, আধুনিক বাংলা কবিতায় জীবনানন্দ-পরবর্তী অন্যতম প্রধান আধুনিক ও রোমান্টিক কবিও বলা হয় প্রথিতযশা ভারতীয় বাঙ্গালী এই কথা সাহিত্যিককে। নীললোহিত, সনাতন পাঠক ও নীল উপাধ্যায় ছদ্মনামেও লিখেছেন অজস্র স্মরণীয় রচনা। তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
৪৭ এর দেশভাগের সময় বাবা কালীপদ এবং মীরার সঙ্গে কলকাতায় পাড়ি জমান ছোট্ট সুনীল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করার পর কিছু দিন আপিসে চাকুরি করে চলে আসেন সাংবাদিকতায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রীর পর ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপগ্রন্থাগারিক হিসাবে কিছুদিন কাজও করেন সুনীল।
১৯৫১ সালে দেশ পত্রিকায় সুনীলের প্রথম কবিতা ‘একটি চিঠি’ প্রকাশিত হয়। এর দু’বছর পর থেকে কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৯৫৮ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ সালে তাঁর প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়।
সুনীলের বেশ কিছু গল্প-উপন্যাসের কাহিনী চলচিত্রে রূপায়িত হয়েছে। এর মধ্যে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি ও প্রতিদ্বন্দী অন্যতম। এছাড়া, কাকাবাবু চরিত্রের তিনটি কাহিনী সবুজ দ্বীপের রাজা, কাকাবাবু হেরে গেলেন এবং মিশর রহস্য সিনেমায় রুপায়িত হয়েছে।
২০১২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভারতের জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠান সাহিত্য একাডেমির দায়িত্ব পালন করেছেন সুনীল।
১৯৩৪ সালে ৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ফরিদপুর জেলার আমগাঁও গ্রামে জন্ম নেয়া এই কিংবদন্তী আজও দুই বাংলার কোটি পাঠকের মনে প্রথম আলো হয়ে বিরাজমান।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে