শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

প্রেম-ভালবাসা আর সৌন্দর্য্যের কবি জয় গোস্বামী

আবিদ আজম

প্রকাশিত: ০১:৪৫, ১১ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ০৩:৪৮, ১১ নভেম্বর ২০২১

Google News

ছেলেবেলা এক অনুষ্ঠানে জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কবিতাটি শুনে কবিতা লেখার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এক ভাবুক ছেলে। আর বিভিন্ন গানের বাণী থেকেও তার অন্তর্লোকে জন্ম হতে থাকে কবিতার অবয়ব। এক সময় নিজেই হয়ে ওঠেন বাংলা ভাষার বরেণ্য এক কবি। চমৎকার চিত্রকল্প, উপমা ও উৎপ্রেক্ষায় দারুন সমৃদ্ধ তার স্বাদু সব কবিতা। দু’বার আনন্দ পুরস্কারজয়ী তুমুল জনপ্রিয় এই ভারতীয় কবি জয় গোস্বামী। 

সত্তরের দশকে দেশ পত্রিকায় কবিতা ছাপা হবার পর দু’বাংলাতেই সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে তাঁর। এরপর মায়ের কাছ থেকে মাত্র ১৪৫ টাকা নিয়ে ১৯৭৬ সালে জয় গোস্বামী বের করেন প্রথম কবিতার বই ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ। পরে একই উপায়ে বের হয় দ্বিতীয় বই প্রত্নজীব। 
কবি শঙ্খ ঘোষ তাকে প্রকাশক জুটিয়ে দেবার পর প্রকাশিত হয় কাব্য আলেয়া হ্রদ। এরপর ভূতুমভগবান, আজ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করো, বজ্র বিদ্যুৎ ভর্তি খাতা, পাগলী- তোমার সঙ্গে, পাতার পোশাক, যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিলো, সূর্য পোড়া ছাই এবং প্রেতপুরুষ ও অনুপম কথা-নামের গ্রন্থ দিয়ে বাংলা কাব্যে ঘোষণা করেন নিজের অনিবার্য বিজয়।

বেশকিছু উপন্যাসও রচিত হয়েছে কবি জয় গোস্বামীর গোলাপ ফোটা হাতে। পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতাকে বেছে নেয়া এই কীর্তিমান কবি কাব্যপ্রেমীদের হৃদয়ে যেভাবে অমরতার আসন করে নিয়েছেন, কোন পুরস্কার বা স্বীকৃতিই তার সঙ্গে তুল্য নয়।

স্ব-রচিত মনোহরী সব কাব্য রচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার প্রতিদিনের জীবনে মনের ভেতর যে ভাষা জন্মায়, যে অভিজ্ঞতা জন্ম নেয়, তাকে ভাষা দেয়ার চেষ্টা করি কবিতায়। লাল-সবুজের এই পরম সুহৃদ বাংলাদেশে এলেই খুঁজে নিতেন তাঁর প্রিয় কবি আল মাহমুদকে।

১৯৫৪ সালের ১০ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় পৃথিবীর আলোয় সোনালী জীবনের যাত্রা শুরু করেন, জীবনবাদী কবি জয় গোস্বামী। প্রেম-ভালবাসা আর সৌন্দর্য্যের কবি জয় গোস্বামী; যার সাহিত্যের ফসল ঘৃণা-হিংসা বিদ্বেষ আর যাবতীয় অসুন্দরের বিপরীতে প্রেমময় এক সুহাসিনী পৃথিবী বির্নিমানে রেখে চলছে অগ্রণী ভূমিকা।

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের