রোববার,

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,

৩১ ভাদ্র ১৪৩১

রোববার,

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,

৩১ ভাদ্র ১৪৩১

Radio Today News

হস্তান্তর

সারওয়ার আজম মানিক, কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Google News
হস্তান্তর

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন থেকে মাতারবাড়ি চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প বাস্তবায়নকারি প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) এর সাথে বুধবার চট্টগ্রামে এই আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর সম্পন্ন হয়।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বন্দর অডিটোরিয়ামে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড -সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের কাছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেল হস্তান্তর করেছেন।

এখন থেকে মাতারবাড়ি চ্যানেলের ব্যবহার, সংরক্ষণ ও পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ, এ চ্যানেলে যাতায়াতকারী সমুদ্রগামী জাহাজের পোর্ট ডিউজ, বার্থ হায়ার চার্জ, পাইলটিং, টাগ চার্জ, বার্থিং-আনবার্থিং ও অন্যান্য চার্জ চট্টগ্রাম বন্দর আদায় করবে। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আদায় হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

সভায় জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল হস্তান্তর বিষয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে মাতারবাড়ি চ্যানেল চট্টগ্রাম বন্দরকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সরকারের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে সিপিজিসিবিএল মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৫০ মিটার প্রস্থ, ১৮ দশমিক ৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল খনন করেছে।

মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী চ্যানেলের প্রশস্ততা ১০০ মিটার বর্ধিত করে ৩৫০ মিটারে উন্নীত করা হয়। নির্মিত চ্যানেল ও হারবার নিরাপদ ও সুরক্ষিত করার জন্য সিপিজিসিবিএল উত্তরে ১ হাজার ৭৫৩ মিটার ব্রেকওয়াটার, দক্ষিণে ৭১৩ মিটার ব্রেকওয়াটার এবং উত্তরে ১ হাজার ৮০৩ মিটার রিভেটমেন্ট (পাথরের দেয়াল) নির্মাণ করেছে।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের