শেরপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী মাশুরা নোকাদ্দেস তানাজ। স্বপ্ন- চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করার। সেই পথে এগিয়েও যাচ্ছিলো এই কিশোরী। চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষাও দিয়েছিল। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সব শেষ।
রোববার যখন পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলো, জানা গেলো জিপিএ-৫ পেয়েছে তানাজ। কিন্তু, এই ফল আর তার দেখে যাওয়া হয়নি। স্বপ্নগুলো শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ ময়মনসিংহের তারাকান্দার একটি সড়কে। তানাজের ফল প্রকাশের পর বাড়িতে বিষাদ যেন আরও জেঁকে বসেছে।
জেলার শ্রীবরদী উপজেলার চরশিমুলচুড়া গ্রামের বাসিন্দা কুয়েতপ্রবাসী মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব ও মোছা. মনিরা বেগম দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে তানাজই বড়। সে পড়তো শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেই সুবাদে শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকায় বাড়ি করে সেখানেই থাকতো তারা।
শহরের নওহাটা এলাকায় তানাজের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তানাজের মা মোছা. মনিরা এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেন নাই। অসুস্থ অবস্থায়ই মেয়ের কথা স্মরণ করে অবাধ্য চোখের জলে ভাসছেন। আর তা বারবার মুছে দিচ্ছেন নির্বাক বাবা মোকাদ্দেসুর রহমান তোরাব।
তানাজের স্বজন, শিক্ষক জানান, খুবই মেধাবী তানাজ চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। পড়াশোনার প্রতি তার আগ্রহ আর মনোযোগ দেখে আমরাও ওকে সায় দিয়েছিলাম। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেলো।
গত ৩১ মার্চ তানাজের মামা কুয়েতপ্রবাসী সোহাবুর রহমান বাপ্পীকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আনতে স্ব-পরিবারে ঢাকা যাওয়ার পথে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার জামান ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী তানাজ ও তার ছোটভাই আড়াই বছর বয়সী শিশু আনাছ। আহত হয় তাদের বাবা-মাসহ তিন জন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম