
সংগৃহীত ছবি
রংপুরের হারাগাছে পুলিশের নির্যাতনে তাজুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় হামলা, ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেছে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার পুলিশ।
ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে হারাগাছ থানার উপ পরিদর্শক আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রাতে এই মামলা করেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩০০ জনকে।
অপরদিকে মাদক রাখার অভিযোগে একই থানার উপ পরিদর্শক রিযাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। তাতে আসামি করা হয়েছে নিহত তাজুল ইসলামকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে এই দুটি মামলা হারাগাছ থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পাওে নাই। তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বিকালে তাজুলেল লাশের ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে বিকেলে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত তাজুলের ভাই লোটাস মিয়া লাশ দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, সোমবার সন্ধায় মাদক বিরোধী অভিযানে যায় মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশ। এসময় পৌর এলাকার দরদী স্কুল সংলগ্ন তেপতি বছি বানিয়া পাড়ায় মাদকসহ তাজুলকে আটক করে তারা। পুলিশ দেখে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর সেখানে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা এই ঘটনায পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়িসহ থানার আসবাবপত্র ভাংচুর করে। রাত সাড়ে ৭টা থেকে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। পরে রংপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে