সপ্তম দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে রওনা হয়েছে ১৬৮ পরিবারের ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা।
সর্বশেষ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ৪২ পরিবারের ১২২ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে চারটি বাস ছেড়ে যায়।
এর আগে সকালে সোয়া ১১টায় ৭টি বাসে ১২৬ পরিবারের ২৫৭ জন রোহিঙ্গা ভসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
বাসে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে তাদের। সেখান থেকে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাহাজে ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে নেওয়া হবে রোহিঙ্গাদের।
এর আগে ১ ও ২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় (দুই অংশে) চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যায়। এবার ১৮শ’ থেকে দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের টার্গেট সরকারের। রোহিঙ্গাদের নিয়ে সম্পৃক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরসি) কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কক্সবাজার-৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, উখিয়াসহ বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া দেড় হাজারের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা অনুযায়ী স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফার তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন এবং পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল চার হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গা রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়। গত বছরের মে মাসে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে