লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল কালাম জহির (৫০) নামে ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মোস্তাফার দোকান সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহির চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিম লতিফপুর এলাকার মুনছুর আহমেদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, দুর্বৃত্তরা রাতে সড়কের ওপর জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলেও তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার মরদেহের পাশ থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবুল কালাম জহির।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জহিরের সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মী ‘ছোট কাউছার’-এর দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিলো।
অভিযোগ রয়েছে, জহির একসময় মাদক ও মাটির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
অপরদিকে কাউছার এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী; তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা আছে, এমনকি সাজাপ্রাপ্ত আসামিও তিনি। এই পুরোনো দ্বন্দ্ব থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।
চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি এম এ বেলাল হোসেন বলেন, এটি কোনো অভ্যন্তরীণ কোন্দল নয়, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি। ঘটনাস্থলের ফুটেজও রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়েজুল আজীম নোমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, নিহত জহিরের বিরুদ্ধে মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে, আর সন্দেহভাজন কাউছারের বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

