বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

যথার্থ সময় মনে করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ০০:৩৩, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

Google News
যথার্থ সময় মনে করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার যথার্থ সময় মনে করেই আজ দেশে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকায় কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সময়টাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার যথার্থ সময় মনে করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে শয়ে শয়ে মেসেজ এসেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না। আসলে সবদিকেই অনেক মতামত রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আমরা সেই চিন্তাও মাথায় রেখেছি। যদি কোনো আশঙ্কা দেখা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে না রেখে আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাব।”

মন্ত্রী বলেন, “আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সবার মধ্যেই সাজসাজ রব। শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সবার মধ্যেই উদ্দীপনা বিরাজ করছে।”

দীপু মনি বলেন, “শুধু সংক্রমণের হার নয় আমাদের অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিকসহ নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব মাথায় নিয়েই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছি। করোনার সঙ্গে হয়তো আমাদের আরও অনেক দিন বসবাস করতে হবে।”

করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও স্কুল ড্রেস নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আপনারা শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের বিষয়ে চাপ দেবেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব নিতে হবে।”

দীপু মনি বলেন, “বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেক জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। পরে এর নম্বরগুলো প্রচার করা হবে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন করে যদি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেকোনো সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেব।”

ফি আদায়ে মানবিক হতে আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফি আদায়ে মানবিক হতে হবে। যেসব ফি নেয়াটা প্রয়োজন সেই ফি-ই এখন আদায় করা যাবে। এ তবে এখানে যদি কোন শিক্ষার্থী ফি দিতে অপারগ হয় তাহলে সেখানে মানবিক আচরণ করতে হবে।”

করোনাভাইরাসের কারণে কোনও শিক্ষার্থীর পরিবারে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে গেলে, ফি পরিশোধের বিষয়ে তাদেরকে কিস্তিতে পরিশোধ করা যায় কিনা সেটি বিবেচনায় নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।

তবে স্কুল পরিচালনা, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রভৃতিও শিক্ষার্থীদের বেতনের উপর নির্ভর করে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অভিভাবকদেরও এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।”

স্কুলের ভেতরে বা বাইরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অপেক্ষা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “অভিভাবকরা যাতে স্কুলের বাইরে অপেক্ষা না করেন। আর যাদেরকে অপেক্ষা করতেই হবে বা ফেরত যেতে পারবেন না তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরস্পর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।”

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের বিষয় বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের