
প্রশাসন নির্দেশনা দিলেও হল ত্যাগ করছেন না ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। উল্টো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সরকারের প্রতিনিধিরা ভঙ্গুর হল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আর শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোকে যৌক্তিক জানিয়ে শিক্ষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে হল ত্যাগ না করলে ঝুঁকিতে পড়বেন শিক্ষার্থীরাই। নিরাপদ ক্যাম্পাস ও আবাসন সমস্যার সমাধানসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পলেস্তারা ওঠা রড বের হওয়া ভাঙাচোরা দেয়াল ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডাক্তার ফজলে রাব্বি হলের। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ভবনের কলামগুলো। এই হলের চতুর্থ তলার প্রতিটি রুম যেনো একেকটি মৃত্যুকূপ। সবশেষ মে মাসে এই ভবনেই আহত হয়েছিলেন এক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের দাবি, জীর্ণশীর্ণ হলের এমন একেকটি রুমেই থাকেন চার থেকে পাঁচ জন শিক্ষার্থী। তাদের শঙ্কা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে যেকোনো সময়ই ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। এমন শঙ্কায় ঈদের আগে থেকেই হল সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। আর সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সকালে অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আলোচনায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে ঘোষণা দেন ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামের।
শিক্ষার্থীদের দাবি, যৌক্তিক হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের রাখার ঝুঁকি তারা নিতে চান না বলেই কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজটির প্রিন্সিপাল ডা. কামরুল আলম। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা মানলে অন্য হলগুলোতে নতুন করে সিট বণ্টন করে আপাতত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
খুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষখুলছে নগর ভবনের তালা, বন্ধ থাকবে প্রশাসক-প্রকৌশলীদের কক্ষ
নিরাপদ ক্যাম্পাস ও আবাসন সমস্যার সমাধানসহ পাঁচ দফা দাবিতে শনিবার (২১ জুন) থেকে আন্দোলন করছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের হুঁশিয়ারি দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তারা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম