
মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে এনে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করেছেন ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া ঊনিশ বছরের এক তরুণী মেয়ে। তার নাম মেহরীন আহমেদ। তিনি ইংরেজি মিডিয়ামের শিক্ষার্থী। এসময় নিজের সুরক্ষা চেয়েও আদালতে আবেদন করেন সে।
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে এ মামলা করেন ওই তরুণী। পরে বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস ও বাবা নাসির আহমেদকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করে। তরুণীর বাবা নাসির আহমেদ এটোমিক এনার্জি কমিশনের পরিচালক ও মা জান্নাতুল ফেরদৌস বেক্সিমকো গ্রুপের ম্যানেজার বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে তার আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, বাদী নিজের সুরক্ষা চেয়ে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন অনুযায়ী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে বাবা-মাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।
মামলার বাদী মেহরীন আহমেদ বলেন, আমার মা ও বাবা আমাকে নির্যাতন করে। আমি সুন্দর একটা জীবন চাই। জাস্টিস পেতেই আদালতে এসেছি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ মে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসায় বাদী মেহরীন আহমেদকে তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস ও বাবা নাসির আহমেদ শারীরিকভাবে আঘাত করতে থাকে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং নিলাফুলা জখম করে। বাদী একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি হওয়ায় তারা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, অপমান ও নির্যাতন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিনিয়ত পরিবারের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যবহারে বাধা প্রদান করেন।
পারিবারিক সম্পর্কের কারণে যে সব সম্পদ বা সুযোগ সুবিধাদী ব্যবহারের অধিকার রয়েছে, তা থেকে তাকে বঞ্চিত করে এবং বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান করে। তারা মৌখিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, ভীতি প্রদর্শন, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা শারীরিকভাবে তাকে আঘাত করে শারীরিক নির্যাতন করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম