
সৌদি রাষ্ট্রদূতকে জড়িয়ে আলোচনায় আসা কথিত মডেল মেঘনা আলম বলেছেন, আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এটি বললে ভুল হবে। কারণ আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। সাধারণত গ্রেপ্তার করার একটি আইনি প্রক্রিয়া থাকে, আমার ক্ষেত্রে সেটা মানা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ, মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। আইনের লোক হোক বা না হোক আমার বাসায় এসে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা করে জোর করে নিয়ে যায় আমকে। এটাকে আইনি ভাষায় অপহরণ বলে, গ্রেপ্তার বলে না।
রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম.এ. আজহারুল ইসলামের আদালতে জব্দকৃত মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদেশ আগামিকাল সোমবার দিবে বলে জানান বিচারক। এরপর আদালতে থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
মেঘনা আলম আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষদের একটা বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমার বিরুদ্ধে কোনো রাষ্ট্রদূতের ফরমাল অভিযোগ নেই। যে রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হচ্ছে, তিনি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হন বা ভিক্টিম হন আদালতে এসে প্রমাণ দিয়ে যাক। মিথ্যা মামলা চালিয়ে রাষ্ট্র ও আমার বা সেই রাষ্ট্রদূতের কোনো লাভ হচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, একজন মিস বাংলাদেশকে এভাবে মিথ্যা মামলায় হেনস্তা করা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বৈশ্বিকভাবে লজ্জার। আমাদের সমাজে মডেলদের নিয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণা আছে। যে কারণে মানুষরা ধরেই নিই মডেলরা কেমন হয়। আমি এ পেশাকে সম্মান জানিয়ে বলছি, আমার পরিচয় প্রথমতো মডেল না। আমার পেশাগত পরিচয় হচ্ছে আমি একজন পলিটিকাল লিডারশিপ ট্রেইনার।
চলতি বছরের গত ৯ এপ্রিল অভিজান চালিয়ে বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনা কারাগারে পাঠানো হয়। ত্রিশ দিনের ওই আটকাদেশ বাতিল হওয়ার পর গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন ২৯ এপ্রিল কারামুক্ত হন তিনি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম