
বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ক্ষেত্রের গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে দ্বীন শিক্ষার উন্নয়নে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। যার মাধ্যমে আলেম-ওলামাদের শতবছরের দাবি বাস্তবায়ন করেছেন। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সকল মাদরাসা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত আলেমগণের সমন্বয়ে বর্তমান প্রযুক্তিগত জীবন ব্যবস্থায় সাধারণ ধর্ম প্রাণ মানুষ যেন বৈশ্বিক নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্বীনের প্রতি অনুগত প্রকাশ ও নবী (সঃ) এর সুন্নত পালন করতে পারে সে ক্ষেত্রে থিংকট্যাংক বা উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করতে হবে।
আজ রবিবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বই পড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধা বৃত্তি, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত সম্মানিত অধ্যক্ষগণের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে গবেষণার উপর জোর দিতে হবে। বর্তমান প্রযুক্তিগত শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে তালমিলিয়ে অগ্রসর হতে হলে মাদরাসা শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষক ও অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের গবেষণা মূলক কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গোষ্ঠী দ¦ীনকে ব্যবহার করে নিজেদের খারাপ স্বার্থ উদ্ধার করতে চায়। যাদের দ্বীনের জ্ঞান নেই তারাই সমালোচনা করে। দ¦ীন শিক্ষাকে আলেমগণ যেভাবে পরিচালনা করছে পাঠ্যবইয়ে আমরা তা রিভিউ করছি। দ্বীন শিক্ষার সাথে যা সাংঘাতিক তা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী, স্বাক্ষরতা ও কর্মপযোগী করে তোলা। কোন বিব্রত পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক সেটা আমাদের কাম্য নয়। আমাদের সবার উচিত শিক্ষার্থীদের দক্ষতামুখী ও দক্ষতানির্ভর করে তোলা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ।
সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, মেধাভিত্তিক বৃত্তির পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদেরকেও বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শিক্ষার্থী বর্তমানে অধ্যয়নরত। ইতিমধ্যে দুই লক্ষ বায়ান্ন হাজার ছয়শত ঊননব্বই জন শিক্ষার্থী বিশ^বিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়েছে। যারা মূল সনদ পায়নি আমরা মূল সনদ দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। খুব শীঘ্রই সমাবর্তনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল সনদ দেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী।
উক্ত অনুষ্ঠানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ঢাকা মহানগরের ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষবৃন্দ’সহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বই পড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ী শিক্ষার্থীগণ, মেধা বৃত্তি প্রাপ্ত, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীগণ এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম