শুক্রবার,

১৬ মে ২০২৫,

২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শুক্রবার,

১৬ মে ২০২৫,

২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Radio Today News

গত রাতেও সড়কে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা, জুমার পর ‘অনশন কর্মসূচি’

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:২৬, ১৬ মে ২০২৫

Google News
গত রাতেও সড়কে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা, জুমার পর ‘অনশন কর্মসূচি’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত পেরিয়ে শুক্রবার (১৬ মে) এখন পর্যন্ত সড়কে অবস্থান করছেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় দাবিগুলো নিয়ে একটি বৈঠক করেন জবির প্রতিনিধি দল। এরপর রাত ১২টায় বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো ইতিবাচক বার্তা না পাওয়ার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ন্যায্য দাবির বিষয়ে এখনো সরকারি কোনো ‘গ্রিন সিগন্যাল’ আসেনি। তাই আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে আজ বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘অনশন কর্মসূচি’ পালনের ঘোষণা দেন তারা।

রাত পৌনে ১২টায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদদীন তিনটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

অধ্যাপক রইছউদ্দীন বলেন, ‘আমরা অধিকার জানাতে এসেছি। আমাদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে পুলিশ । এটি অরাজকতা ও অন্যায়। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না।’ ১৪ মে কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি (তথ্য উপদেষ্টা) ছাত্রদের কাতারের একজন। আমরা আশা করেছিলাম, আপনি আমাদের বুঝবেন ও সহযোগিতা করবেন। জুলাই বিপ্লব সফল না হলে আপনি উপদেষ্টা হতে পারতেন না। এখন আপনার আচরণ ফ্যাসিবাদীর মতো।’

ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো

দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালু থাকবে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বাদ জুমা থেকে শুরু হবে গণঅনশন কর্মসূচি।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে চলমান এ আন্দোলন ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত এই কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক পর্যন্ত সকলে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন।

জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে— শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, এবং একটি স্বাধীন ও কার্যকর গবেষণা পরিবেশ নিশ্চিত করা।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, সরকার খুব দ্রুত উদ্যোগ নেবে এবং যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্থিতিশীল ও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের