ছবি ইন্টারনেট
তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে কৃষ্ণ সাগর উপকূলে বন্যায় কমপক্ষে ৪৪ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে এখন ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে। তুরস্কের কাস্তামোনু প্রদেশ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। বন্যায় পানির তীব্র স্রোতে ইজিন নদীর তীর ফেটে গেলে বোজকুর্ট শহরে অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ধ্বংস হয়ে যায়।
আগস্ট মাসে তুরস্ককের দক্ষিণাঞ্চল বিশাল দাবানলের সাথে লড়াই করছে।
এদিকে শনিবার তুরস্কের আদানায় অবতরণ হওয়ার ঠিক আগে একটি অগ্নিনির্বাপক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আটজন মারা গেছেন। ইন্টারফ্যাক্স এজেন্সি জানিয়েছে, বিমানটিতে পাঁচজন রুশ সেনা সদস্য এবং তিনজন তুর্কি নাগরিক ছিলেন।
সেই আগুন- যা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে- হাজার হাজার স্থানীয় এবং পর্যটকদের মারমারিস এবং আশেপাশের এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে। আট জন মারা গেছে এবং ১ লাখ হেক্টর এলাকায় গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ বিষয়ক দফতর শনিবার জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা এখন ৪৪ এ পৌঁছেছে ।
বুধবার উত্তরাঞ্চলের কৃষ্ণসাগর এলাকায় প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে বন্যার কারণে বহু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়, রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায় এবং শত শত গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে ২২০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং নিখোঁজ বাসিন্দাদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত আছে।
এই বন্যা হচ্ছে তুরস্কে এই নিয়ে দ্বিতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে দক্ষিণের উপকুলীয় এলাকায় জরুরি ত্রাণ কর্মিরা দাবদাহ দমনের চেষ্টা চলিয়ে গেছেন। বন্যা শুরু হতে হতেই দাবদাহ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
বিজ্ঞানিরা এই আবহাওয়া জনিত বিপর্যয়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তুরস্কের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নদী নিয়ে অকারণ হস্তক্ষেপ এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের জন্য এই বন্যা হয়েছে। বিবিসি অনলাইন।
রেডিওটুডে নিউজ/এসআই