সোমবার,

২৩ জুন ২০২৫,

১০ আষাঢ় ১৪৩২

সোমবার,

২৩ জুন ২০২৫,

১০ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

হামলার পর স্যাটেলাইট ইমেজে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার যে চিত্র দেখা গেছে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৫২, ২২ জুন ২০২৫

আপডেট: ২১:৫৯, ২২ জুন ২০২৫

Google News
হামলার পর স্যাটেলাইট ইমেজে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার যে চিত্র দেখা গেছে

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বোমা হামলার পর নতুন স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশিত হয়েছে। এই স্যাটেলাইট ইমেজে গত রাতের ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় মার্কিন হামলার পরের পরিস্থিতি দেখানো হয়েছে।

২২শে জুন তোলা ম্যাক্সার টেকনোলজির হাই রেজুলেশনের ছবিতে দেখা গেছে, সেখানে ছয়টি নতুন গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন বোমা হামলার পরই এই গর্তগুলো সৃষ্টি হয়েছে।

এর পাশাপাশি পাহাড়ের ঢালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধূসর ধুলা ও ধ্বংসাবশেষ। যা বোমা হামলার ফলে সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এমন গভীর ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় হামলার জন্য যেসব “বাংকার ধ্বংসকারী” বোমা লাগে, তার মধ্যে একটি হলো ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর বা এমওপি নামক একটি বোমা।

কিছুক্ষণ আগে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে, তাদের অভিযানের অংশ হিসাবে এগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল।

ম্যাকেঞ্জি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসেসের জ্যেষ্ঠ চিত্র বিশ্লেষক স্টু রে বিবিসি ভেরিফাইকে বলেন, ‘এসব বোমা যে জায়গা দিয়ে প্রবেশের করে সেখানে বড় কোন গর্ত তৈরি হয় না। বরং এগুলো ভূগর্ভে প্রবেশের পর নিচের অংশের দিকে বড় বিস্ফোরণ ঘটায়’।

নতুন স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে দুটি পৃথক আঘাতস্থলে তিনটি পৃথক বোমা আঘাত করেছে এবং মাটির ধূসর রঙ দেখে মনে হচ্ছে বিস্ফোরণের ফলে কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ ছিটকে পড়েছে চারপাশে”।

রে আরো বলেন, পারমাণবিক স্থাপনার টানেলের প্রবেশপথগুলো আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ টানেলগুলোর আশেপাশে কোনো গর্ত বা আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

তার ধারণা, ইরান সম্ভবত ইচ্ছাকৃতভাবে টানেলগুলো বন্ধ করে রেখেছিল, যেন বিমান হামলায় সেগুলোকে লক্ষ্য করা না হয়।

তবে এই হামলায় ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ধারণা করা হচ্ছে, হামলার আগের কয়েকদিনে ইরান কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের