রোববার,

০৬ জুলাই ২০২৫,

২২ আষাঢ় ১৪৩২

রোববার,

০৬ জুলাই ২০২৫,

২২ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

দালাই লামার জন্মদিনে বিশেষ বার্তা মোদীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৫, ৬ জুলাই ২০২৫

Google News
দালাই লামার জন্মদিনে বিশেষ বার্তা মোদীর

জন্মদিনে দালাই লামাকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আধ্যাত্মিক গুরু ৯০ বছরে পা দিলেন। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘ভালোবাসা এবং ধৈর্যের প্রতীক’। অন্যদিকে, নিজের জন্মদিনে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন দালাই লামাও।

দালাই লামাকে জন্মদিনে কী বার্তা মোদীর?

রবিবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ‘১৪০ কোটি ভারতীয়র মতো আমিও দালাই লামাকে তাঁর ৯০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি প্রেম, করুণা, ধৈর্য এবং নৈতিক শৃঙ্খলার এক চিরন্তন প্রতীক। তাঁর বার্তা সমস্ত ধর্মের মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধা জাগায়। আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।’ শুধু মোদী নন, একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

দালাই লামার উত্তরসূরি কে হবেন? তা নিয়ে চর্চা চলছিলই। চিন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিল, পঞ্চদশ দলাই লামার মনোনয়নের জন্য তাদের অনুমোদনের প্রয়োজন। যদিও সেই দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লি। কিরেন রিজিজু সেই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, দালাই লামার অনুসরণকারীরা জানেন যে নির্ধারিত সংগঠন তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবেন। তিনি এবং নির্দিষ্ট ট্রাস্ট ছাড়া এ বিষয়ে অন্য কারও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। দলাই লামার দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন তিনিও।

কী বার্তা দিলেন দালাই লামা?
জন্মদিনে এক্স হ্যান্ডলে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন দালাই লামা। দয়া এবং করুণার প্রচারের মাধ্যমে যাঁরা তাঁর জন্মদিন পালন উদযাপন করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘ভালো মন এবং সকলের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে মানসিক শান্তির উপর জোর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

১৪তম দলাই দামা তেনজিন গিয়াতসোর শারীরিক পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাচ্ছে চিনও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনে কলকাঠি নাড়তে চাইছে চিন। ১৯৫১ সাল থেকে অধুনা চিন নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে পৃথক সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দালাই লামা। যদিও সে ক্ষেত্রে চিনের স্বীকৃতি মেলেনি। ১৯৫৯ সালে চিন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে ভারতে এসেছিলেন ১৪তম দালাই লামা। তাঁকে ভারত আশ্রয়ও দিয়েছিল। আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে এবং তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে এর পর থেকেই সরব তিব্বতিরা।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের