বৃহস্পতিবার,

১০ জুলাই ২০২৫,

২৬ আষাঢ় ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

১০ জুলাই ২০২৫,

২৬ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা? 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ৯ জুলাই ২০২৫

Google News
ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা? 

প্রথমে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ‘পারমাণবিক যুদ্ধ এড়াতে সহায়তা করার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার আহ্বান জানান পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির।

এরপর ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ার জন্য নোবেল কমিটিকে চিঠি দেন বাডি কার্টার নামে এক মার্কিন আইনপ্রণেতা।

সবশেষ চলতি সপ্তাহে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। ট্রাম্প নিজেও বারবার বলছেন, তিনি কয়েকটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। তাকে যেন নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে একাধিক কূটনৈতিক সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করা, কঙ্গো-রুয়ান্ডার শান্তি চুক্তি, আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতা, এমনকি সিরিয়া-লেবাননে স্থিতিশীলতা আনার উদ্যোগ, সবই এই কয়েক মাসেই সম্ভব হয়েছে।

মাত্র ১২ দিনের এক যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপকেও ‘বিশ্বে একমাত্র কার্যকরী অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করেন রুবিও। যদিও ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন সরকার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের গণহত্যার যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। 

এমন অবস্থায় ট্রাম্পের নোবেল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। নানা মহলে আলোচনায় এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, ট্রাম্প কি আদৌ নোবেল শান্তি পুরস্কার পাবেন? তার নোবেল জয়ের সম্ভাবনা কতোটুকু? এসব প্রশ্নের জবাবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

নিয়ম অনুযায়ী, শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাঠানোর সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই সময়ের পর শুধুমাত্র নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির সদস্যরা চাইলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সভায় কাউকে মনোনয়ন দিতে পারেন।

জাতীয় সংসদের সদস্য, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক, পূর্ববর্তী নোবেল বিজয়ী, নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নির্দিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকেরা তাদের পছন্দমতো মানুষের জন্য প্রস্তাব দিতে পারেন।

তালিকায় থাকা অনেক নামের ভিড়ে ট্রাম্পের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেটিং সাইটে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাব্যতা ধরা হচ্ছে ১০-১৫ শতাংশ। তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রাশিয়ার সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনির স্ত্রী অর্থনীতিবিদ ইউলিয়া নাভালনিয়া, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থা তথা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।

এছাড়াও যারা এক সময় ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তারাও এখন মত বদলাচ্ছেন। এ অবস্থায় ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এরপরও ট্রাম্প যদি নোবেল জেতেন, তাহলে থিওডোর রুজভেল্ট, উড্রো উইলসন, জিমি কার্টার ও বারাক ওবামার পর তালিকার পঞ্চম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের