
গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে আরো একটি নৌবহর রওনা হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার কর্মীরা। ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ জানায়, ‘কনসায়েন্স’ নামের নৌযানটি বুধবার ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছে। এতে প্রায় ১০০ জন কর্মী আছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিক। এর আগে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে আরও আটটি নৌযান গাজা অভিমুখে যাত্রা করে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই নয়টি নৌযান এখন গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উপকূলে অবস্থান করছে। কর্মীদের আশঙ্কা, নৌযানগুলো গাজার দিকে অগ্রসর হলে ইসরায়েলি নৌবাহিনী সেগুলো আটকাবে। এক বিবৃতিতে এফএফসি জানিয়েছে, নৌযানে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু আছেন।
অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাওয়া বৈশ্বিক ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ নৌযানটি ইসরায়েলি কমান্ডোরা জব্দ করেছে। আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপকূলের কাছে অভিযান চালিয়ে সেনারা নৌকাটিতে ওঠে এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়। খবর আল জাজিরার।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে যাওয়া বৈশ্বিক ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’র শেষ নৌযানটি ইসরায়েলি কমান্ডোরা জব্দ করেছে। আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে উপকূলের কাছে অভিযান চালিয়ে সেনারা নৌকাটিতে ওঠে এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়।
‘মারিনেট’ নামের নৌযানটি পোল্যান্ডের পতাকা বহন করছিল এবং এতে ছয়জন ক্রু ছিল বলে জানা গেছে। এটি ছিল ৪৪টি নৌযানের বহর থেকে বেঁচে থাকা শেষ কার্যকর নৌযান।
'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নামে পরিচিত এই ত্রাণবাহী অভিযানে ডজনখানেক নৌযান অংশ নিয়েছিল, যা গত মাস থেকে যাত্রা শুরু করে এবং বুধবার থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী সেগুলো আটক করতে শুরু করে। ইতোমধ্যে ৪০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন সুপরিচিত জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আডা কলাউ এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য রিমা হাসান।
এফএফসি, যা ২০০৮ সালে গঠিত হয়েছিল, গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য 'ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন', 'গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা', 'মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা' এবং 'সুমুদ নুসানতারা'— এই চার সংগঠনের একটি জোট।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম