
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন প্রসিকিউশন। এতে মিলেছে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনে এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রতিবেদন দাখিল করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল আবু সাঈদকে হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২৬ জনের ‘সম্পৃক্ততা’ পাওয়ার কথা জানায় তদন্ত সংস্থা।
এছাড়া এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়ের প্রক্টর, পুলিশের দুই সদস্য এবং ছাত্রলীগের এক নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নের্তৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
কারাগারে পাঠানো চারজন হলেন- রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম। যারা সাঈদকে সরাসরি গুলি করেছিল তাদের মধ্যে পুলিশের দুই সদস্য এসআই আমির হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ওই সময়ের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী আকাশ।
ওই দিন প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মিজানুল ইসলাম তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় চান। পরে ট্রাইব্যুনাল ১৫ জুন পর্যন্ত সময় দিয়ে চার জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে এই মামলার শুনানির জন্য ২৬ জুন দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন সাঈদ।
ওই ঘটনায় ১৮ অগাস্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এছাড়া গত ১৩ জানুয়ারি সাঈদের পরিবার ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই হত্যার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে মামলা (আইসিটি বিডি কেস নম্বর: ১২/২০২৫) করেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম তাজুল ইসলাম।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম